বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ভারতীয় নারী দল নিশ্চিত জয় হাতছাড়া করেছিল। কিন্তু ম্যাচের ফলাফল ছাড়িয়ে আলোচনার হট টপিক বনে গিয়েছিলেন হারমানপ্রীত কৌর।
ম্যাচ চলাকালীন অ-খেলোয়াড়সুলভ আচরণ আর শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় তাঁকে, এমনকি মিতালি রাজের মত ব্যক্তিও সমালোচনা করেছিল হারমানপ্রীতের।
এখানেই শেষ নয়, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে ভারতীয় অধিনায়ককে। ম্যাচ ফি’র ৭৫% জরিমানা করা হয়েছিল তাঁকে, সেই সাথে নামের পাশে যোগ করা হয়েছে চারটা ডিমেরিট পয়েন্টস। ফলে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার খড়গ নেমে এসেছে এই অলরাউন্ডারের উপর।
অধিনায়কের এমন শাস্তি মেনে নিয়েছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই), আইসিসির কাছে এ ব্যাপারে কোন আপিল করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জয় শাহ। বরং হারমানপ্রীতের ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করতে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে তাঁরা।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট রজার বিনি এবং ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি (এনসিএ) প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণকে নিয়ে গঠন করা হয়েছে এই কমিটি। তাঁরা আচরণবিধি নিয়ে কথা বলবেন হারমানপ্রীতে কৌরের সঙ্গে, এছাড়া ভবিষ্যতে এমন ঘটনা এড়ানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থাও নিতে পারেন।
মূলত ভিভিএস লক্ষ্মণ এবং রজার বিনি দুইজনেই নিজেদের সময় ভাল খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি ভাল মানুষও ছিলেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ, মাঠে পেশাদারি মনোভাব বজায় রাখার ক্ষেত্রে জুড়ি নেই তাঁদের। তাই তো এই দুই সাবেক ক্রিকেটার মানসিকভাবে হারমানপ্রীতকে সাহায্য করতে পারবেন বলেই বিশ্বাস ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
এসব ব্যাপারে বিসিসিআই প্রধান জয় শাহ বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রেসিডেন্ট বিনি এবং ভিভিএস লক্ষ্মণকে তাঁর (হারমানপ্রীত) সঙ্গে কথা বলতে বলেছি। আমরা তাঁর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোন চ্যালেঞ্জ করতে যাচ্ছি না। এছাড়া আপিল করার সময়কালও শেষ হয়ে গিয়েছে।’
মাঠে স্ট্যাম্পে আঘাত করা, সরাসরি ম্যাচ অফিসিয়ালদের সমালোচনা, প্রতিপক্ষ দলকে বাজে মন্তব্য ছোঁড়া – হারমানপ্রীত কৌরের বিরুদ্ধে অভিযোগ বেশ গুরুতর। ফলে শাস্তিও পেয়েছেন তিনি; মূলত ইকুয়েপমেন্ট এবিউজ এবং পাবলিক ক্রিটিসিজম অব ম্যাচ অফিসিয়াল এই দুই ধারায় শাস্তি দেয়া হয়েছে এই ডানহাতিকে।
দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এশিয়ান গেমসের উল্লেখযোগ্য অংশে মাঠে নামা হবে না হারমানপ্রীত কৌরের। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা সরাসরি এই টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। তবে হারমানপ্রীতকে অপেক্ষা করতে হবে ফাইনাল পর্যন্ত। ২৩ তারিখ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারত জায়গা করে নিতে পারলে আকাশী-নীল জার্সিতে ফেরা হবে তাঁর; না হলে বাড়বে অপেক্ষার ক্ষণ।