প্যারিস সেন্ট জার্মেই কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না কিলিয়ান এমবাপ্পেকে। ক্লাবের সবচেয়ে সেরা সম্পদ হিসেবে যাকা ভাবা হতো, তিনিই এখন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
ট্রান্সফার ইস্যুতে পিএসজির কোন সিদ্ধান্তই মানছেন এই তারকা; তাই তো দলবদলের সময়টাতে তাঁকে নিয়ে নানান পরিকল্পনা করতে হচ্ছে ক্লাব ম্যানেজম্যান্টকে।
পিএসজির সন্দেহ, গোপনে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি করে ফেলেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাঁদের ধারণা, আগামী মৌসুমে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে যাবেন এই তরুণ। এমতাবস্থায় রিয়াল মাদ্রিদ যাতে এ বছরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাঠায় সেই চেষ্টা করছে পিএসজি কতৃপক্ষ।
অবশ্য এখন পর্যন্ত এমবাপ্পেকে নিয়ে প্রকাশ্যে কোন আগ্রহ দেখায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। তাই এবার রিয়ালের বিরূদ্ধে ফিফার কাছে অভিযোগ করতে যাচ্ছে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়নরা। দলটির উদ্দেশ্য স্পষ্ট, লস ব্ল্যাঙ্কোসদের উপর চাপ সৃষ্টি করা।
২০২৪ সালে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে পিএসজির চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, এরপর দুই পক্ষের সমোঝোতায় এক বছর বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। কিন্তু নিজেদের ইতিহাসের অন্যতম দামি ফুটবলারকে আগামীকাল বছর বিনামূল্যে ছাড়তে চায় না ক্লাবটি।
এজন্য এমবাপ্পের কাছে দুইটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে তাঁরা – হয় তিনি চুক্তি নবায়ন করবেন, নয়তো চলতি ট্রান্সফার উইন্ডোতে তাঁকে বিক্রি করে দিবে ফরাসি জায়ান্টরা।
যদিও দুইটির কোনটিতেই সম্মতি দেননি কিলিয়ান এমবাপ্পে। আপাতত মনে হচ্ছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নিজ দেশের সেরা ক্লাবেই থাকতে চান তিনি। এরপর হয়তো চলে যাবেন অল হোয়াইট শিবিরে।
ফিফার নিয়মানুযায়ী, চুক্তির মেয়াদের সর্বোচ্চ ছয় মাস বাকি থাকলে নতুন ক্লাবের সাথে দলবদল করতে পারবে। কিন্তু পিএসজি মনে করছে, কিলিয়ান এমবাপ্পে ও তাঁদের চুক্তির এখনো এক বছর বাকি থাকতেই রিয়াল মাদ্রিদ এই তরুণের সাথে গোপনে আলোচনা সেরে রেখেছে।
এরই ভিত্তিতে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অভিযোগ করবে ফ্রান্সের ক্লাবটি। যদিও পিএসজির হাতে এই ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ থাকার সম্ভাবনা প্রায় শূণ্য।
ফুটবল বিশ্লেষকরা মনে করছেন ফিফার মাধ্যমে রিয়াল মাদ্রিদের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই দলটির এমন পদক্ষেপ। অতীতে নীতিবিরুদ্ধ কাজের জন্য বহু ক্লাবকে দলবদলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সংস্থাটি, স্বাভাবিকভাবেই তাই একটু সতর্ক থাকতে হবে স্প্যানিশ জায়ান্টদের।
করিম বেনজেমা সৌদি প্রো লিগে যোগ দেয়ার ইতোমধ্যে রিয়াল মাদ্রিদে তৈরি হয়েছে শূণ্যস্থান। দলটির নাম্বার নাইন জার্সিও মালিকানাবিহীন হয়ে আছে। গুঞ্জন রয়েছে, কিলিয়ান এমবাপ্পের জন্যই রাখা আছে এটি।
কিন্তু, এই জার্সি কখন উঠবে ফরাসি স্ট্রাইকারের গায়ে – এ মৌসুমে নাকি অদূর ভবিষ্যতে সেটাই এখন প্রশ্ন। তবে পিএসজি যেভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে, এই বছর এমবাপ্পকে আনতে না পারলে কাজটা কঠিনই হয়ে যাবে ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ীদের জন্য।