কিলিয়ান এমবাপ্পে, ২৪ বছরেই এক সাম্রাজ্যের অধিপতি

বয়সটা সবে চব্বিশ। এরই মাঝে পৌঁছে গিয়েছেন সাফল্যের চূড়ায়। জনপ্রিয়তা, অর্থ প্রতিপত্তির জৌলুশে হয়ে উঠেছেন অনন্য এক তারকা। বলা হচ্ছে, ফ্রেঞ্চ ফুটবল তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পের কথা।

শেষ কয়েক বছরে দল বদলের বাজারে শীর্ষ দলগুলোর চাহিদার শীর্ষে থাকা নামটা তিনিই। সাম্প্রতিক সময়ে নিজ ক্লাব পিএসজির সাথে সম্পর্কটা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। এমবাপ্পে মুক্ত হতে চাচ্ছেন। কিন্তু পিএসজি বেঁধে রাখতে চাইছে নিজেদের শর্তের বেড়াজালে।

অবশ্য এমবাপ্পের বর্তমান অবস্থানের নেপথ্যে এই পিএসএজিরেই অগ্রণী ভূমিকা ছিল। ফ্রেঞ্চ এ ক্লাব থেকে পাওয়া পারিশ্রমিকে রীতিমত টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছেন এমবাপ্পে। নিজের রাজকীয় হালচালে প্যারিসে তাঁর একটি বাড়ি রয়েছে। যেটির পিছনে এ ফুটবল তারকার ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১০ মিলিয়ন ইউরো।

এত ব্যয়বহুল বাড়িতে আছেটাই বা কি? এমবাপ্পের বাড়ির বিশেষত্বই বা কি? জনপ্রিয় গণমাধ্যম দ্য সানের এক প্রতিবেদন বলছে, এমবাপ্পের এ বিলাস বহুল বাড়ির বিশেষত্ব হলো, তাঁর বাড়ি থেকে আইফেল টাওয়ার দেখা যায় দারুণভাবে। তাছাড়া, পুরো বাড়িতে ১২ টি বেডরুম সহ রয়েছে একটি বাস্কেটবল মাঠ, তুর্কি বাথরুম, আর একটি লাইব্রেরি।

এমবাপ্পের বিলাসবহুল বাড়ি ছাড়াও তাঁর আলাদা আকর্ষণ আছে গাড়ি সংগ্রহের প্রতি। এই মুহূর্তে তিনি ফেরারি ব্র্যান্ডের হাইব্রিড এসএফ ৯০ মডেলের একটি গাড়ি ব্যবহার করেন। যার অর্থমূল্য প্রায় ৫ লক্ষ ১৫ হাজার ইউরো। ফেরারির এই মডেলের গাড়ি ছাড়াও এমবাপ্পের গাড়ি সংগ্রহের তালিকায় রয়েছে মার্সিডিজ ভি ক্লাস ভ্যান, ভোকসওয়াগেন মাল্টিভ্যান ও ফেরারি পিস্তা ৪৮৮। তবে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো, এত গাড়ি সংগ্রহের নেশা থাকলে, এমবাপ্পে নিজে কিন্তু ড্রাইভ করতে পারেন না। এ জন্য তাঁর নিজস্ব ড্রাইভার রয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে ফুটবলের বাইরে বিভিন্ন ফ্যাশন শোতেও দেখা যায় এমবাপ্পেকে। ক্লাব সতীর্থ নেইমারের সাথে প্যারিসের বেশ কিছু ফ্যাশন শো তে তাঁকে দেখা গিয়েছে।

এমবাপ্পের প্রায় সব চাওয়াই পূরণ করেছে পিএসজি। তবে তাঁর একটি চাওয়া এখন পর্যন্ত অপূর্ণই রেখেছে পিএসজি। ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য ক্লাবের কাছে প্রাইভেট জেট চেয়েছিলেন এমবাপ্পে। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পের সেই ইচ্ছা পূরণ হয়নি।

তবে এ ছাড়া নিজের বিলাসবহুল জীবনে প্রতিটা জায়গাতেই এমবাপ্পে ছাপ রেখেছেন আভিজাত্যের। জনপ্রিয় ঘড়ির ব্র্যান্ড হুবলোটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর তিনি। ফ্রেঞ্চ এ তারকা যে ঘড়িটা হাতে পড়েন, তাঁর বাজারমূল্য প্রায় ২ লক্ষ ইউরো। এ ছাড়া অনুশীলনের জন্য নিজের সরঞ্জাম রাখার ক্ষেত্রে যে ব্যাগটা তিনি ব্যবহার করেন, তার মূল্য প্রায় ৬ হাজার ইউরো।

অবশ্য বিলাস বহুল জীবন কাটানো এমবাপ্পে ব্যয় করেন সামাজিক কাজেও। তাঁর অর্থায়নে প্যারিসের প্রায় শত শিশুর প্রতিটা দিন অতিবাহিত হয়। এ ছাড়া বেশ কিছু জনকল্যাণমূলক কাজে তাঁকে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে।

তবে এত কিছুর পরও রীতিমত সম্পদের পাহাড় ডাকছে তাঁকে। সৌদি ক্লাব ৩০০ মিলিয়ন ইউরোতে ভেড়াতে যায় ফ্রেঞ্চ এ ফুটবল তারকাকে। যদিও ২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পে এখনই ইউরোপ ছাড়ছেন না। সেটি নিজেও জানিয়ে দিয়েছেন। তবে ২৪ বছরেই বিত্তশালী এ ফুটবলার যে এখনই এক সাম্রাজ্যের অধিপতি হয়ে উঠেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link