ফাইনালেও লো-স্কোরিং ম্যাচই দেখল গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি কানাডা। তাতে হেরে গেল লিটন দাসের দল সারে জাগুয়ার্স। শেষ বলে যাওয়া লড়াইয়ে পাঁচ উইকেটে জিতে চ্যাম্পিয়ন হল মন্ট্রিল টাইগার্স। এই মন্ট্রিল দলেই আসরের শুরুটা খেলেছেন সাকিব আল হাসান।
ফাইনালেও লিটন বড় কোনো অবদান রাখতে পারেননি। ১৩ বলে করেন ১২ রান। ইনিংসে ছিল একটি চার। সব মিলিয়ে পুরো আসরে ৮ ম্যাচের ৭ ইনিংসে ২১.৭১ গড়ে লিটনের সংগ্রহ ১৫২ রান, স্ট্রাইক রেট কেবল ১০০.৬৬।
এর মধ্যে একটা হাফ সেঞ্চুরি থাকলেও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই পরিসংখ্যান খুবই বেমানান। যদিও কানাডার স্লো উইকেটও এখানে একটা প্রভাব ফেলেছে। পুরো আসর জুড়েই ছিল লো-স্কোরিং ম্যাচের ছড়াছড়ি।
ফাইনালে, মন্ট্রিল টাইগার্সের বিপক্ষে বড় রানও হয়নি সারে জাগুয়ার্সের। সাকিবহীন দলটিকে ১৩১ রানের টার্গেট দিয়েছিল তাঁরা। ওমানের ওপেনিং ব্যাটার যতিন্দর সিং ৫৭ বলে ৫৬ রান করেন। লিটন ছাড়াও দলের অধিনায়ক ইফতিখার আহমেদও ছিলেন ব্যর্থ।
জবাব দিতে নেমে, শেষ ওভারে জয়ের জন্য মন্ট্রিলের দরকার ছিল ১৩ রান। প্রথম পাঁচ বলেই আসে ১১ রান। শেষ বলে দরকার ছিল দুই রান। সেখানে আমির খালেদের বলে ছক্কা হাঁকান ক্যারিবিয়ান তারকা আন্দ্রে রাসেল। ক্রিস লিনের দল জিতে যায় পাঁচ উইকেটের ব্যবধানে।
রাসেল ৬ বলে ২০ রান করে অপরাজিত ছিলেন। অন্যদিকে শেন রাদারফোর্ডও অপরাজিত থাকেন ২৯ বলে ৩৮ রানে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও রাদারফোর্ড। ৭ ইনিংসে ৪৪ গড়ে ২২০ রান করেছেন তিনি। ম্যাচ সেরার পাশাপাশি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারও জিতেন তিনি।