সাকিব আল হাসানকেই অধিনায়ক হিসেবে নিয়োগ দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অপেক্ষা কেবল আনুষ্ঠনিকতার।
বোর্ড সভাপতির নির্দেশনা পেয়ে জাতীয় দল-সংশ্লিষ্ট কেউ কেউ সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন দল নির্বাচন ইস্যুতে। দু’বছর মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার আশ্বাস থাকায় সাকিবের কোনো আপত্তি নেই। এশিয়া কাপগামী দলেরই অধিনায়ক হয়ে যাবেন তিনি।
তবে, বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের আলোচনা করার কথা বাঁ-হাতি এ অলরাউন্ডারের সঙ্গে। সেই আলোচনার পরই আসবে চূড়ান্ত ঘোষণা। যদিও, এই বিষয়গুলো কেবলই আনুষ্ঠানিকতা, আর সেটাও হতে পারে কাল বা পরশুর মধ্যেই।
বিশ্বকাপ ট্রফি প্রদর্শন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলে অধিনায়ক ও এশিয়া কাপের দল অনুমোদন দেবেন বিসিবি সভাপতি। তখনই অধিনায়কের নাম নিশ্চিত হবে।
সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা অধিনায়কদের একজন। ৫০ টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাতে দল জিতেছে ২৩ টি ম্যাচে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপেও অধিনায়কত্ব করেন। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে সহ-অধিনায়ক ছিলেন।
ফলে, সাকিব ছাড়া ‘বেটার’ কোনো বিকল্প এই মুহূর্তে হাতে নেই। আবার প্রটোকল অনুযায়ী, তামিম ইকবালের জায়গায় লিটন দাসেরই তো অধিনায়কত্ব পাওয়ার কথা। স্বল্প অভিজ্ঞতাতেও বেশ সফল তিনি। তবে, লিটনকে সাকিবের অধীনে রেখে আরেকটু গড়ে তুলতে চায় বিসিবি। লিটন যথারীতি সহ-অধিনায়কের পদেই বহাল থাকছেন।
২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত নেতৃত্ব পেতে পারেন সাকিব। সব্যসাচী এ ক্রিকেটারের শেষ বৈশ্বিক টুর্নামেন্টও হতে পারে এটি। কারণ, তখন তাঁর বয়স ৩৮ বছর পেরোবে।