অধিনায়কত্ব ইস্যুতে এখনও সূরাহা করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিশেষ এক বৈঠক শেষে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছেন, ১২ আগস্ট ঘোষণা করা হবে এশিয়া কাপের দল। সেদিন জানা যাবে বাংলাদেশের ১৫ তম ওয়ানডে অধিনায়কের নাম।
এশিয়া কাপের প্রাথমিক স্কোয়াড হবে ২০-২২ জনের। স্কোয়াড ও অধিনায়কের নাম একই দিনে ঘোষণা করবে বিসিবি। ফলে, বোঝা যাচ্ছে বৈঠক থেকে নতুন তেমন কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। কারণ, ১২ আগস্টই এশিয়া কাপের দল ঘোষণার শেষ দিন।
সম্ভাব্য অধিনায়ক হলেন দু’জন – সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস। তাঁদের কারও সাথেই এখনও আলাপ করতে পারেনি বিসিবি। তাঁদের সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান। বোর্ড সভাপতি নিজে অধিনায়ক নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়েছেন।
তবে, দৌড়ে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন সাকিবই। সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসেরই সেরা অধিনায়কদের একজন। ৫০ টি ওয়ানডে ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত টানা ৪৭ ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা আছে সাকিবের। এরপর মাশরাফির অবর্তমানে আরও তিনটি ম্যাচে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন।
এই ৫০ টি ম্যাচের মধ্যে দল জিতেছে ২৩ টি ম্যাচে। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তাঁর চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন কেবল দুজন – মাশরাফি বিন মুর্জতাও হাবিবুল বাশার সুমন। তাঁরা জিতেছেন যথাক্রমে ৫০ ও ২৯ টি ম্যাচ।
২০১১ সালের বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করেন। ২০১৫ ও ২০১৯ বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজার পাশে সহ-অধিনায়ক ছিলেন। ওয়ানডে বিশ্বকাপে সাত ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। এরমধ্যে তিনটি জয় ও চারটিতে হেরেছে বাংলাদেশ।