অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড বুকে জুনিয়র তামিম

তামিম ইকবাল তো আগে থেকেই নেই, জ্বরের কারণে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছেন লিটন দাসও। ফলে ওপেনিং পজিশন নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তায় পড়তে হয়েছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। দেশ থেকে এনামুল হক বিজয়কেও উড়িয়ে আনা হয়েছিল, তবে প্রথম ম্যাচে নাইম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমেছেন তরুণ তানজিদ হাসান তামিম।

ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচ, প্রত্যাশার চাপও বেশি – তাই হয়তো খানিকটা নার্ভাস ছিলেন তানজিদ তামিম। কিন্তু সেটাও স্থায়ী হয়নি, মাত্র দ্বিতীয় বলেই মাহিশ থিকসানার ক্যারম বলে এলবিডব্লুর ফাঁদে আটকা পড়েন তিনি। অভিষেক ম্যাচে শূণ্য রানে আউট হওয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডে যুক্ত হয়ে যায় জুনিয়র তামিমের নাম।

যদিও এই রেকর্ডে তামিম একা নন, এর আগেও অনেক বাংলাদেশি ব্যাটার অভিষেক ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারেননি। তামিমকে নিয়ে সেই সংখ্যা এখন ২৩ জন। এদের মধ্যে শূন্য রানে আউট হয়েছেন ১৬ জন। বাকিরা অবশ্য শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন।

অভিষেক ইনিংসের দ্বিতীয় বলে আউট হওয়ার ক্ষেত্রেও তানজিদ তামিম একমাত্র নন। ১৯৮৬ সালের এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই স্বাদ পেয়েছিলেন সামিউর রহমান। এবার তাঁর সঙ্গী হলেন তানজিদ হাসান তামিম। এছাড়া অভিষেকে গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়েছেন জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।

আর ওপেনার হিসেবে ক্যারিয়ারের শুরুতেই শূণ্য রানে আউট হয়েছেন এমন বাংলাদেশী ক্রিকেটার এখন চারজন। তানজিদ তামিমের পাশাপাশি নুরুল আবেদীন, হারুনুর রশিদ ও রফিকুল ইসলাম আছেন লজ্জার এই ক্লাবে।

এত এত বিব্রতকর রেকর্ডে নাম উঠেছে, নেতিবাচক আলোচনা শুরু হয়েছে চারদিকে – তানজিদ হাসান তামিমের অবশ্য সেসব ভেবে মন খারাপ করার কোন দরকার নেই। তাঁর প্রতিভা নিয়ে সন্দেহ নেই, অ্যাপ্রোচ কিংবা মানসিকতা নিয়েও সমস্যা নেই। ধৈর্য ধরে নিজের মত খেলতে থাকলে নিশ্চয়ই সাফল্য আসবে।

এশিয়া কাপে যাওয়ার আগে সাকিব আল হাসান নিজেই বলেছিলেন ভাল করলে যেমন কিংবদন্তি হয়ে যাবে না, আবার খারাপ করলেও তানজিদ তামিমের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে না। তাই তামিমের আপাতত নিজের কাজ করে যাওয়াটাই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link