হতে পারতো জমজমাট এক লড়াই। তার রেশও পাওয়া গিয়েছিল ম্যাচের প্রথম ইনিংসে। তবে প্রকৃতি তো চলে তাঁর নিজস্ব ধাবমান গতিতে। ভারতের ইনিংসের পর পাল্লেকেলেতে শুরু হলো অঝোর ধারায় বৃষ্টি। আর সেই বেরসিক বৃষ্টিতে শেষমেশ ভেস্তে গেল এশিয়া কাপের অন্যতম হাইভোল্টেজ ম্যাচ ভারত-পাকিস্তান মহারণ।
পাল্লেকেলের আবহাওয়ায় অবশ্য অনেকটা এমনই। এই বৃষ্টি তো, খানিক পরে রোদ। ভারত-পাকিস্তান মহারণেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়ার মাঝেই হয়। টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
গিল-রোহিত ব্যাটে নামার কিছুক্ষণ বাদেই আসে বৃষ্টির বাঁধা। অবশ্য বৃষ্টি থেমেও যায় সে যাত্রায়। আর বৃষ্টির পরেই শুরু পাকিস্তানি পেসারদের বোলিং তাণ্ডব। রোহিত শর্মাকে বোল্ড করে শুরু। এরপর বিরাট কোহলিরও স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন শাহীন আফ্রিদি।
শাহীন আফ্রিদির পর বল হাতে প্রতাপ দেখাতে শুরু করেন হারিস রউফও। তিনি তুলে নেন শ্রেয়াস আইয়ার আর শুভমান গিলের উইকেট।
৬৬ রানে ৪ উইকেট হারানো ভারতকে এরপর পথ দেখাতে শুরু করেন হার্দিক পান্ডিয়া আর ইশান কিষাণ জুটি। দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডে যোগ করেন ১৩৮ রান। দারুণ এ পার্টনারশিপে দুজনই তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। তবে সেঞ্চুরির পথে হেঁটেও দুজনই আউট হন আশি-র ঘরে। ইশান কিষাণ করেন ৮২ রান। আর ৮৭ রানে শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে ফিরে যান হার্দিক পান্ডিয়া।
আর এই দুজন ফিরে যাওয়ার পরও আবারো মোমেন্টাম হারিয়ে পেলে ভারত। শেষ ৬২ রান তুলতেই তাঁরা হারিয়ে ফেলে ৬ টি উইকেট। ফলত, নির্ধারিত ৫০ ওভারের ৭ বল বাকি থাকতেই ২৬৬ রানে অলআউট হয় ভারত। পাকিস্তানের হয়ে ৩৫ রানে ৪ উইকেট নেন শাহীন আফ্রিদি। আর ৩ টি করে উইকেট নেন হারিস রউফ আর নাসিম শাহ।
তবে ভারতের দেওয়া ২৬৭ রানের লক্ষ্যটা তাড়া করতে মাঠে নামতেই পারেনি পাকিস্তান। ভারতের ইনিংস শেষ হওয়ার পরই শুরু হয় বৃষ্টি। ম্যাচ শুরুর জন্য স্থানীয় সময় ৯ টা ২৭ পর্যন্ত সময় বেঁধে দিলেও বৃষ্টি আর থামেনি। তাই পয়েন্ট ভাগাভাগিতেই শেষ হয় ভারত-পাকিস্তান লড়াই। তবে এ ম্যাচের পর প্রথম দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে সুপার ফোরে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করলো পাকিস্তান।