২০১১ বিশ্বকাপের আগে চেনা ছন্দে ছিলেন না যুবরাজ সিং; তাঁকে নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তায় ছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরু হতেই বদলে যায় দৃশ্যপট। ওই আসরের সেরা খেলোয়াড় হয়ে ভারতকে ট্রফি জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। সব মিলিয়ে ৩৬২ রান করার পাশাপাশি এই তারকা নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট।
আরো একটা বিশ্বকাপ দরজায় কড়া নাড়ছে; বিশ্ব আসরে ভাল করতে ভারতের আবারও যুবরাজ সিংকে প্রয়োজন। কিন্তু এক যুগ কেটে গেলেও এই অলরাউন্ডারের চেয়ারে বসতে পারেননি নতুন প্রজন্মের কেউই। এই বিশ্বকাপে কি কেউ ২০১১ এর যুবরাজ হয়ে উঠতে পারবেন সেটি নিয়ে নতুন করে তাই আলোচনার জন্ম হয়েছে।
আর এই আলোচনায় যোগ দিয়েছেন ভারত এবং পাকিস্তানের দুই সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জেকার এবং ওয়াকার ইউনুস। পাক কিংবদন্তির বিশ্বাস হার্দিক, জাদেজাদের সামর্থ্য আছে যুবরাজের মত অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স করার। অন্যদিকে, মাঞ্জেকারের মতামত অনেকটাই বিপরীত।
ওয়াকার ইউনুস বলেন, ‘হার্দিক ও জাদেজা মাঠে কি করে তা দেখুন। তারা ব্যাট এবং বল উভয় দিকেই সামর্থ্যবান। বিশেষ করে হার্দিক পান্ডিয়া যেভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করেছে; আমি মনে করি সে সত্যিই একজন আগ্রাসী ব্যাটার। যেকোনো দলই তার মতো কাউকে পেতে চাইবে। আগের ম্যাচে দেখেছি সে খুব বিচক্ষণ এবং স্মার্টও।’
এই পেসার আরো যোগ করেন যে, ‘হার্দিক চ্যাম্পিয়নের মতই খেলে। আমার ধারণা এরা (জাদেজা ও হার্দিক) ছয় ও সাত নম্বরে থেকে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিবে। তাঁরা দ্রুত আউট হতে চায় না, এবং শেষ দশ ওভারে রান তাড়া করতে দারুণ পারদর্শী।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে হার্দিক পান্ডিয়ার মনে রাখার মত পারফরম্যান্স কিংবা রবীন্দ্র জাদেজার ধারাবাহিকতা কোনটাই অবশ্য তৃপ্ত করেনি স্বদেশী ক্রিকেট বিশ্লেষক সঞ্জয় মাঞ্জেকারকে। তিনি বলেন, ‘যুবরাজ সিং সাদা বলে ভারতের সেরা ব্যাটার। তাঁর জায়গা অনন্য। সম্মান রেখেই বলি, জাদেজা, পান্ডিয়া সে স্তরে পৌঁছাতে পারেনি। বোলিংয়ে হয়তো তাঁরা তুলনামূলক ভাল, তবে যুবরাজের ব্যাটিংয়ের কাছাকাছিও নেই।’
এরপরেই মাঞ্জেকারের কথায় বিস্ময় প্রকাশ করেন ওয়াকার ইউনুস। এই কিংবদন্তি বলে ওঠেন, ‘হার্দিক পান্ডিয়াও নয়? সাম্প্রতিক সময়ে এমন ব্যাটিংয়ের পরেও? আমি তুলনা করছি না তবে এপ্রোচ প্রায় একই।’
সঞ্জয় মাঞ্জেকার যদিও মেনে নিয়েছেন সর্বোপরি ক্রিকেটীয় দক্ষতায় হয়তো যুবরাজের চেয়ে এগিয়ে আছেন হার্দিক-জাদেজা জুটি; কিন্তু ব্যাটার যুবরাজের সঙ্গে অন্য কাউকে তুলনা করতে একেবারেই নারাজ তিনি।
এই ধারাভাষ্যকার জানান, ‘হ্যাঁ, আমি তাঁদের দেখেছি। দুর্দান্ত অবদান রাখার সামর্থ্য তাঁদের আছে। কিন্তু আমি আগে যা বললাম, যুবির ব্যাটিং; এটা একেবারে অতুলনীয়।’