গত মার্চে টি-টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিলো হাসান মাহমুদের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও ভালো করেছিলেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ বোলিং করে সুযোগ পেয়েছেন ওয়ানডে স্কোয়াডে। হাসান মাহমুদ জানিয়েছেন ধারাবাহিকতা ধরে রাখাই এখন মূল লক্ষ্য।
তিনি বলেন, `প্রক্রিয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। যখন যেখানে যে ফরম্যাটে খেলি, নিজের সেরাটা দিব। প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখার চেষ্টা করব। নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করব। ধারাবাহিকতা খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের প্রথম সদস্য হিসাবে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম। প্রথম বার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বাসিত এই পেসার। জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে আগেই অভিষেক হয়েছে হাসান মাহমুদ ও মেহেদী হাসানের। এই দুজনের নজর এবার ওয়ানডেতে ভালো করা। ওয়ানডে দলের নতুন এই তিন মুখ জানিয়েছেন তাদের ভাবনার কথা।
শরিফুল বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ্ খবরটা শোনার পর অনেক ভালো লাগছে। প্রথমবারের মত জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকার খবর শুনে অনেক খুশি লাগছিল। ইনশাআল্লাহ্ ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে মোটামুটি ভালো খেলেছি। জাতীয় দলের একাদশে সুযোগ পেলে সেই পারফরম্যান্স দেওয়ার চেষ্টা করব। জায়গা ধরে রাখার চেষ্টা করব।’
শরিফুলের স্বপ্ন ছিলো জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে খেলার। গত ১০ জানুয়ারি থেকে অনুশীলনের সুবাদে সবার সাথেই আছেন শরিফুল। শরিফুল জানিয়েছেন নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্য তাকে সবই শেখাচ্ছেন তাঁরা, সেই সাথে ধরিয়ে দিচ্ছেন ভুল গুলোও।
শরিফুল বলেন, ‘জাতীয় দলের পরিবেশ অনেক ভালো লাগছে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় থেকেই ভাবতাম সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, তামিম ভাই, মুস্তাফিজ ভাই উনাদের সাথে যদি খেলতে পারতাম। স্বপ্ন ছিল, পূরণ হয়েছে। চেষ্টা করব সবসময় তাদের সাথে থাকার। আমার ভুল হলে তারা ধরিয়ে দিচ্ছেন। সেরাটা দেওয়ার জন্য যা করা দরকার শেখাচ্ছেন। খেলায় যাতে প্রভাব না পড়ে এজন্য প্র্যাকটিসেই ভুল ধরিয়ে দিচ্ছেন।’
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী এই পেসার এবার বিশ্বকাপ জিততে চান জাতীয় দলের হয়েও। একতা আর দেশপ্রেম দিয়েই বিশ্বকাপ জিতেছিলেন যুবারা। শরিফুল মনে করেন জাতীয় দলেও একতা ও দেশপ্রেম থাকলে বিশ্বকাপ জেতা সম্ভব। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জয়ের মূল শক্তি ছিল- সবাই একত্রে ছিলাম এবং দেশের জন্য লড়েছি। ঐ একতা যদি এখানেও থাকে আর দেশের জন্য লড়তে পারি, তাহলে ইনশাআল্লাহ্ মূল বিশ্বকাপও জিততে পারব।’
টি-টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিলো অলরাউন্ডার মেহেদী হাসানেরও। ঘরোয়া টুর্নামেন্ট গুলোতে নিয়মিত ভালো করে এসেছেন তিনি। মেহেদী মনে করেন পরিশ্রমের ফলই পেয়েছেন তিনি।
এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘পরিশ্রম করে এখানে এসেছি। টি-টোয়েন্টি দিয়ে দেশের হয়ে খেলেছি এখন ওয়ানডেতে সুযোগ এসেছে। যদি একাদশে থাকি, তাহলে ব্যাটিং বা বোলিং যেটাতেই সুযোগ আসে অবদান রাখার চেষ্টা করব।’