৬,৬,৬,৬,৬,৬—যুবরাজ সিংয়ের মতোই টানা ৬ বলে ৬ ছক্কা মেরেছিলেন নেপালের দিপেন্দ্র সিং। তবে গ্যারি সোবার্স, হার্শেল গিবস, যুবরাজ সিংদের মতো এক ওভারের সবকটি বল বাউন্ডারি ছাড়া করার কীর্তি গড়তে পারেননি এ ব্যাটার। কারণ এশিয়ান গেমসের ক্রিকেট ইভেন্টে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে টানা এক ওভার খেলতেই যে পারেননি দিপেন্দ্র সিং।
এক ওভারে ছয় ছক্কার কীর্তি হয়নি। তবে যুবরাজের রাজকীয় পঞ্চাশের সেই ১৬ বছর আগের রেকর্ড এখন অতীত। স্টুয়ার্ট ব্রডকে ৬ ছক্কা মেরে ১২ বলে ৫০ করেছিলেন যুবরাজ। তবে দিপেন্দ্র সিং ৫০ পূরণ করেছেন মাত্র ৯ বলে! যে পঞ্চাশের পথে ৮ টিই ছিল ছক্কার মার। নেপালের এ ব্যাটার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্রুততম পঞ্চাশের রেকর্ডটা এমন জায়গাতেই নিয়ে গেলেন, যা কার্যত চিরকালের জন্য অক্ষত হওয়ার পথে।
মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে দিপেন্দ্র সিংয়ের এ কীর্তির দিনে রীতিমত রেকর্ডের ঝাঁপি খুলেই বসেছিল নেপাল। এশিয়ান গেমসে এই এক ম্যাচ দিয়েই চার বিশ্বরেকর্ডে নাম লিখিয়েছে দেশটি। প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে ৩ শতাধিক রান করার কীর্তি তো আছেই। একই সঙ্গে এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ও পেয়েছে দলটি।
তবে এমন রেকর্ডময় ম্যাচটার স্বাক্ষী হয়ে রইল অখ্যাত এক স্টেডিয়াম। হ্যাংঝুর পিংফেং ক্যাম্পাসের ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৩১৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় নেপাল। আর সেই রাত তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪১ রানেই গুটিয়ে যায় মঙ্গোলিয়া। ২৭৩ রানের জয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসে তাই সবচেয়ে বড় জয়টার মালিক এখন নেপাল।
দলগত রেকর্ডের মাঝে অবশ্য ব্যক্তিগত আরেকটি রেকর্ডেও নিজের নাম লিখিয়েছেন কুশল মাল্লা। ৫০ বলে ৮ চার ও ১২ ছক্কায় খেলেন ১৩৭ রানের দারুণ এক ইনিংসে পৌঁছে গিয়েছেন দ্রুততম শতকের নতুন রেকর্ডে। এতদিন ৩৫ বলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডের মালিক ছিলেন ডেভিড মিলার ও রোহিত শর্মা। ১৩৭ রানের ইনিংস খেলার পথে কুশল মাল্লা সেঞ্চুরি পূরণ করেন ৩৪ বলে। যা এখন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দ্রুততম সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড।