সব সমালোচনা আর বিতর্ক উড়িয়ে দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো বাংলাদেশ। নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে তিন বিভাগেই আধিপত্য দেখিয়ে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাত উইকেটের এই বিশাল জয়ে সামনে থেকে অবদান রেখেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ, বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও পারফর্ম করেছেন তিনি।
ম্যাচ শেষে তাই পুরো ক্রিকেট বিশ্বের প্রশংসা পাচ্ছেন এই টাইগার ক্রিকেটার। সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী থেকে ক্রিকেটবোদ্ধা – সবার মুখে মুখে তাঁর বন্দনা। ব্যতিক্রম নয় পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররাও।
সাম্প্রতিক সময়ে মেহেদি মিরাজকে পুরোদস্তুর অলরাউন্ডার হিসেবেই ব্যবহার করছে টিম ম্যানেজম্যান্ট। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও তাই তিন নম্বরে নামানো হয় তাঁকে। আস্থার প্রতিদান দিতে কোন আপস করেননি এই ডানহাতি, তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ ফিফটি; আউট হওয়ার আগে দলের জয়ও নিশ্চিত করেছেন তিনি।
এর আগের ইনিংসে তিন উইকেট শিকার করে আফগানদের অল্পতে আটকে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন মিরাজ। সবমিলিয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্সই করেছন এই তারকা।
তাই তো নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘রমিজ স্পিকস’–এ মিরাজের প্রশংসা করেছেন রমিজ রাজা। তিনি বলেন, ‘৩ উইকেটে নেওয়ার পাশাপাশি ৫০ রান করা মেহেদি হাসানের মধ্যে অনেক প্রতিভা আছে। ও যেভাবে খেলে, সেটা দারুণ। তার শরীরী ভাষাও বেশ প্রভাব রাখার মতো। এর মধ্যে সে নিজের উপস্থিতির জানান দেয়।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘এর আগে ভারতের বিপক্ষে নিজেদের মাটিতে এক, দুই ইনিংসে সে দারুণ খেলেছিল। এর পর থেকে সে আর পেছন ফিরে তাকায়নি। তাঁর পারফরম্যান্স খুবই নিখুঁত। বোলিংও সে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে করে। তাঁর বোলিং অ্যাকশন খুব সুন্দর; এই ম্যাচে দারুণ অফ স্পিন করেছে । ৩ উইকেটে সঙ্গে ৫০ রান—এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আসলে হতে পারত না।
মিরাজের ফর্ম দলের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উল্লেখ করে সাবেক পিসিবি সভাপতি জানান, তাঁর জন্য দলও বেশ আত্মবিশ্বাস পেয়েছে। ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তাঁর ছন্দে থাকা বাংলাদেশের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ।’
পাকিস্তানের এক টেলিভিশন চ্যানেলে আলাপকালে এই অলরাউন্ডারকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মোহাম্মদ হাফিজও। হাফিজের বিশ্বাস, ‘সুযোগের অপেক্ষায় থাকা মিরাজ পরিস্থিতিকে নেতিবাচক হিসেবে নেয়নি। উল্টো নিজেকে বলির পাঠা মনে না করে, প্রতিভা দেখানোর সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করে নিয়েছে।’
তাই তো সাম্প্রতিক ফর্মের পিছনে মেহেদি মিরাজকেই পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন পাকিস্তানের সাবেক এই অলরাউন্ডার। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা তাঁর কৃতিত্ব, তাঁর মধ্যে চ্যালেঞ্জ নেয়ার ক্ষমতা আছে। সে হয়তো ভেবে নিয়েছে যে আমার প্রতিভা দেখানোর সুযোগ এটাই।’