প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আধিপত্য দেখানো পারফরম্যান্স, পরের ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় – মাঠে পাকিস্তান দল আছে সেরা ছন্দে। বিশ্বকাপে তাঁদের শুরুটা হয়েছে স্বপ্নের মত, আর এটি কাজে লাগিয়ে টুর্নামেন্টের বাকি অংশে ভাল করতে বদ্ধপরিকর বাবর আজমের দল।
কিন্তু ড্রেসিংরুম নিয়ে পুরোপুরি স্বস্তিতে নেই টিম ম্যানেজম্যান্ট। কোচদের সাথে প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে শীতল সম্পর্কের কারণে খানিকটা অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। মূলত প্রধান নির্বাচকের দায়িত্বে থাকা ইনজামাম উল হক ক্রিকেটারদের অনুশীলনে হস্তক্ষেপ করেন, যা পছন্দ নয় পাকিস্তানের বিদেশি কোচদের – যদিও দলের বৃহত্তর স্বার্থের জন্য নিজেদের অসন্তুষ্টি খোলাখুলি ভাবে প্রকাশ করছেন না তাঁরা।
গত মাসের শেষদিকে হুট করেই ভারতের ভিসা আবেদন করেন ইনজামাম, ভিসা পেয়ে যাওয়ার পর জাতীয় দলের সঙ্গে হায়দ্রাবাদ চলে আসেন তিনি। আর অনুশীলনের সময় খেলোয়াড়দের পরামর্শ দেওয়ার জন্য সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ নেন প্র্যাকটিস সেশনে, স্বাভাবিকভাবেই এতে মন:ক্ষুণ্ন হয়েছেন গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্নরা।
অভ্যন্তরীন একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, পিসিবি চেয়ারম্যান জাকা আশরাফের কাছে ভারতে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন পাক কিংবদন্তি; জাকা আশরাফও তাঁর ইচ্ছে পূরণ করার ব্যবস্থা করেছিলেন।
সাধারণত কোন ম্যাচের একাদশ নির্বাচনের ব্যাপারে কোচ আর ক্যাপ্টেন সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। তবুও সাবেক এই তারকা এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে শুরু করেন। এমনকি দুই ম্যাচ পর লাহোর ফিরে গেলেও দূর থেকে নিজের কতৃত্ব জারি রেখেছেন তিনি।
অন্যদিকে, বোর্ডের বিভিন্ন পদে পরিবর্তন আসায় পাকিস্তানের কোচিং প্যানেলের ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় জেগেছে। বিশ্বকাপের মত গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে দলের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় না কেউই, সেজন্য এই বৈশ্বিক আসর পর্যন্ত বর্তমান প্যানেল থাকবে সেটা নিশ্চিত। তবে টুর্নামেন্ট শেষে ঠিক করা হবে কারা থাকবেন বাবর, রিজওয়ানদের দায়িত্বে; আর কাদের বিদায় বলতে হবে।