বিরাটের কল্যাণে আরও এক জয় ভারতের

দুই দলই জিতেছিল আগের চারটি ম্যাচের সবকয়টি, তাই তো নিউজিল্যান্ড বনাম ভারতের ম্যাচ ছিল নিজেদের জয়ের ধারা ধরে রাখার লড়াই। আর এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে ভারত; বিরাট কোহলির ৯৫ রানের আইকনিক এক ইনিংসে ভর করে জয়ের বন্দরে পৌঁছেছে তাঁরা।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে কিউই টপ অর্ডার। ইনফর্ম ডেভন কনওয়ে আউট হন শূন্য রানে, বেশিদূর যেতে পারেননি উইল ইয়ং-ও। আট ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে তখন চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড, আর সেসময় তাঁদের ত্রাতা হয়ে আসেন রাচিন রবীন্দ্র আর ড্যারি মিশেল।

দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে আবারো ম্যাচে ফেরে ব্ল্যাকক্যাপসরা। ব্যক্তিগত ৭৫ রানের মাথায় রবীন্দ্রকে ফিরিয়ে ভারতকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মোহাম্মদ শামি, ততক্ষণে অবশ্য দলীয় রান পৌঁছে গিয়েছে ১৭৮ এ। এই তরুণ সেঞ্চুরি মিস করলেও মিশেল ছুঁতে পেরেছিলেন তিন অঙ্কের ফিগার। আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ১২৭ বলে ১৩০ রান।

তবে এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কেউই বলার মত কিছু করতে পারেননি। বিশেষ করে দলটির মিডল অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে বোলারদের উপর ঝড় তুলতে। তাই তো ৩৭ ওভারে ২০০ রান করলেও শেষপর্যন্ত তাঁরা থেমেছে ২৭৪ রানে – অর্থাৎ ডেথ ওভারে মাত্র ৫৪ রান করতে পেরেছিল।

জবাবে ভাল ভাবেই শুরুটা করেছিল ইনফর্ম ওপেনিং জুটি। রোহিত, গিলের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ৬৩ রান তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ভারত। কিন্তু এরপরই দুইজনকে ফিরিয়ে আবারো ম্যাচে ফেরে নিউজিল্যান্ড। তবে বিপদ বাড়তে দেননি বিরাট কোহলি, নিজের চওড়া কাঁধে আরো একবার জয়ের দায়িত্ব তুলে নেন।

শ্রেয়াস আইয়ার সঙ্গ দিয়েছিলেন কিছুক্ষণ, লোকেশ রাহুলও তাই – দুই মিডল অর্ডারের ব্যাটারের সঙ্গে জুটি গড়ে জয়ে পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিলেন কোহলি।  কিন্তু ১৯১ রানে পাঁচ উইকেট হারালে দুই দলের মাঝে রোমাঞ্চের সৃষ্টি হয়।

কিন্তু যখন চেজ মাস্টার আছেন মাঠে, তখন থামানোর সাধ্য আছে কার – থামাতে পারেওনি। তাঁর দৃঢ়তায় ঠিকই চার উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা, তবে যুদ্ধ শেষে ক্লান্ত বিকেলে ম্যাট হেনরির বলে আউট হয়েছিলেন তিনি। জিতলেও তাই খানিকটা আক্ষেপ হয়তো রয়ে গিয়েছে এই তারকার মনে, মাত্র তো পাঁচটা রানের দূরত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link