শেষ ম্যাচ জিততে পারলো না বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ করে ঘরের মাঠে পাকিস্তানকে হারিয়ে মধুর প্রতিশোধটা নেওয়া হলো না লিটনদের। তবে তাতে খুব একটা ক্ষতি অবশ্য নেই, সিরিজটা যে আগেই নিজেদের করে নিয়েছিল টাইগাররা।
শুরুতেই টসে জিতে বোলিং বেছে নেন লিটন দাস। একাদশে পাঁচ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। তবে এদিন জ্বলে উঠলো পাকিস্তানের দুই ওপেনার। বিশেষ করে ফখর জামানের পরিবর্তে নামা শাহিবজাদা ফারহান যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করলেন। আগের দুই ম্যাচে সুযোগ পাননি, এই ম্যাচে বুঝিয়ে দিলেন তাকে না খেলানো ম্যানেজমেন্টের বড় ভুল ছিল।
ওপেনিং জুটি থেকেই আসলো ৮২ রান, যার বেশিরভাগটাই শাহিবজাদার ব্যাট থেকে। বোঝাই যাচ্ছিল আজকের ম্যাচটা খুব একটা সহজ হবে না বাংলাদেশের জন্য। যখন তিনি আউট হলেন, ব্যক্তিগত খাতায় ততক্ষণে ৪১ বলে ৬৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস।
মাঝের সময়টাতে হাসান নেওয়াজের ১৭ বলে ৩৩ এবং শেষদিকে মোহাম্মদ নেওয়াজের ১৬ বলে ২৭ রানের ঝড়ো ইনিংসে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে তাসকিন শিকার করেন তিন উইকেট, যদিও খরুচে বোলিং করেছেন তিনি। নাসুমের পকেটে দুই, শরিফুল আর সাইফউদ্দিন মিলে শিকার করেন একটি করে উইকেট।
মিরপুরের উইকেটে ১৭৯ রান তাড়া করে জেতার জন্য একটা ভালো শুরু দরকার ছিল। আর সেখানেই গুবলেট পাকালেন তানজিদ তামিম। রানের খাতা খোলার আগেই সালমান মির্জার শিকার হয়ে ফিরে যান তিনি।
তামিম যেন সাজঘরে যাওয়ার একটা পথ দেখিয়ে দেন সবাইকে। আর ওই দেখানো পথেই লিটন, জাকের, মেহেদীরা দ্রুতই ফিরে যান। ২৫ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারিয়ে একপ্রকার ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।
চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে কেউ হাল ধরতে পারেননি আর। শেষদিকে সাইফউদ্দিনের ৩৪ বলে ৩৫ রানের লড়াকু ইনিংসটা শুধু ব্যবধান কমিয়েছে কেবল। শেষ পর্যন্ত ৭৪ রানের হার সঙ্গী হলো বাংলাদেশের।
আগের দুই ম্যাচেই সিরিজের ফলাফল নিশ্চিত করে ফেলেছিলো লিটনের দল। এই ম্যাচ হারলেও তাই কিছুই যায় আসতো না বাংলাদেশের। আর শেষটাতে পাকিস্তান পেল একটা সান্ত্বনার জয়।