বেন ডাকেট শেখালেন কি করে ব্যাটিং করতে হয়

আদর্শ উদাহরণ সৃষ্টির জন্যে যা কিছু করা প্রয়োজন, সবই করেছেন বেন ডাকেট।

অস্ট্রেলিয়াকে পেলেই পারফরমেন্সের ক্ষুধা দ্বিগুণ হয় বেন ডাকেটের। এবার তো রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন ডাকেট। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে ১৬৫ করে নিজের রানক্ষুধার বার্তাকে প্রবল করলেন ইংলিশ এই ব্যাটার। এর আগে ওয়ানডেতে করা শেষ সেঞ্চুরিটিও তিনি করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে ডাকেট দেখালেন কি করে এই সময়ে ওয়ানডে ব্যাটিং করতে হয়।

যেকোন টুর্নামেন্টে সফল হওয়ার একটা চাবিকাঠি রয়েছে- আপনার ওপেনারকে হতে হবে ধারাবাহিক। সেই সাথে যেকোন একজন ওপেনারকে করতে হবে বড় রান। বিগত বছরগুলোতে এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠা হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মঞ্চে।

সে জন্যে মারকাটারি ব্যাটিং করা, বলে বলে বলে চার-ছক্কা হাঁকানোর বিশেষ প্রয়োজন নেই। বলের মেরিট বুঝে ব্যাটিং করে যাওয়াই যথেষ্ট। বেন ডাকেট সে কাজটাই করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ফিল সল্ট ও জেমি স্মিথ। টপ অর্ডারে দ্রুত দুই উইকেট পতনের ফলে চাপে পড়ার কথা ছিল ইংল্যান্ডের।

কিন্তু সে পরিস্থিতি কখনোই তৈরি হতে দেননি বেন ডাকেট। রান তোলার গতি হয়নি স্লথ। তিনি দেখে-শুনে অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামলেছেন। অবশ্য সে জন্যে তাকে খোলসবন্দী হতে হয়নি। সিঙ্গেলস, ডাবল চালিয়ে গেছেন। প্রতিপক্ষ বোলারদের চেপে বসতে দেননি। তাতে করে ৯৫ বলেই শতরান পেরিয়ে যান বেন ডাকেট। পরবর্তীতে দেড়শ ছাড়ায় তার ব্যক্তিগত রান।

অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ বেশ অনভিজ্ঞ। তারকা পেসাররা নেই, বোলিং বিকল্পেও নেই তেমন কোন বৈচিত্র্য। খুব বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়নি ডাকেটকে। ইংলিশ এই ওপেনার স্রেফ নিজের সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে ব্যাট চালিয়েছেন স্বাভাবিক ভঙ্গিমায়। একপ্রান্ত থেকে তিনি রানের চাকা সচল রেখেছেন।

সেটাই ইংল্যান্ডকে বড় রানের শক্ত ভীত গড়ে দিয়েছে। জো রুটের সাথে তার গড়া ১৫৮ রানের জুটি ইংল্যান্ডের স্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেন ডাকেটের এই ইনিংসটি তাই একটা স্যাম্পল হিসেবে চাইলেই ব্যবহার করা যায়। ওয়ানডে ওপেনারদের জন্যে আদর্শ উদাহরণ। শতক করেই যে থেমে যেতে হয় না। নিজের দিনে ব্যক্তিগত রান যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিতে হয়।

আদর্শ উদাহরণ সৃষ্টির জন্যে যা কিছু করা প্রয়োজন, সবই করেছেন বেন ডাকেট। তার বুদ্ধিদীপ্ত দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসটির কল্যাণে ৩৫১ রান যুক্ত হয়েছে ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে। নতুবা অনভিজ্ঞ অজি বোলিংয়ের সামনেও মুখ থুবড়ে পড়ে যেত ইংলিশ ব্যাটিং দূর্গ।

দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে আউট হতে হয়েছে তাকে। হুট করেই বল ধীর গতির হওয়ার সাথে, বেশ নিচু হয়ে যায়। তাতেই লেগ বিফোর আউট হন ডাকেট। নয়ত ইংল্যান্ডের সংগ্রহ আরও বেশ খানিকটা বাড়তে পারত।

Share via
Copy link