অস্ট্রেলিয়া সফরে পাকিস্তানের বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছিলেন আমির জামাল। পার্থ থেকে মেলবোর্ন কিংবা সিডনি, তাঁর পেসের আগুনে রীতিমত নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল অজি ব্যাটারদের। সেই আমির জামাল এবার বোলিং তোপের ধারাবাহিকতা দেখালেন বাংলাদেশেও। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে বিপিএলের মঞ্চে দেখালেন নিজের আগ্রাসী রূপ। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ২৩ রানেই একাই নিলেন পাঁচটি উইকেট।
বিপিএলের দশম আসরের প্রায় অর্ধেক গড়িয়ে গেলেও ফাইফারের কীর্তি গড়তে পারছিলেন না কোনো বোলারই। ২৩ নম্বর ম্যাচে এসে সেই শূন্যতায় ঘোচালেন আমির জামাল। গুণে গুণে নিলেন পাঁচ উইকেট। আর সেই ফাইফারে এবারের বিপিএলে ‘প্রথম’-এর রেকর্ডে তো বটেই, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেই প্রথম ‘পাঁচ’-এর মুখ দেখলেন পাকিস্তানি এ পেসার।
কুমিল্লার হয়ে এ দিন বোলিং প্রান্তে এসেছিলেন পাওয়ার প্লে-র পর, নবম ওভারে। ১৫০ রানের লক্ষ্যে তখনই কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল খুলনা। তবে ক্রিজে ততক্ষণ টিকে ছিলেন ক্যারিবিয়ান পাওয়ার হাউজ এভিন লুইস। তবে দারুণ বিপিএল কাটানো লুইস এ দিন আটকে যান আমির জামালের কাছে। পাকিস্তানি এ পেসারের করা প্রথম ওভারের চতুর্থ বলেই তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি।
এর ঠিক পরের ওভারেই স্বদেশী মোহাম্মদ নওয়াজকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন আমির। ওই উইকেটের পরই মূলত জয়ের পথে খুলনা সব সম্ভাব্য সমীকরণ থেকে ছিটকে যায়। তবে আমিরের বোলিং আগ্রাসন অব্যাহত ছিল পরের ওভারেও। নিজের তৃতীয় ওভারে এ দুটি উইকেট নেন তিনি। শেষ দিকে কিছুটা ঝড় তোলা নাহিদুল আমিরের বলে উইকেটরক্ষক রিজওয়ানের গ্লাভসে ধরা দেন। আর তার আগে আউট হন ফাহিম আশরাফ।
৪ উইকেট নিয়ে তখনই ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগারে পৌঁছে যান আমির জামাল। কারণ এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ৪ উইকেট নেওয়া হয়নি এ পেসারের। বিপিএলের মঞ্চে এসে সেটি শুধু পেলেনই না, ছাপিয়েও গেলেন ফাইফার তুলে নিয়ে। নিজের শেষ ওভারে আমির তাঁর পঞ্চম শিকার বানান নাসুম আহমেদকে। আর এর মাধ্যমেই এবারের বিপিএলে সেরা বোলিং ফিগারে পৌঁছে যান তিনি।