শাহীন শাহ, নাসিম শাহর মতন তারকাদের ভীড়ে আব্বাস আফ্রিদির কথা মনেই পড়ে না। তাঁকে নিয়ে আলোচনা হয় না, উচ্ছ্বাস জাগে না। কিন্তু কার্যকারিতা আর সামর্থ্য বিবেচনায় কোন অংশে কম নন তিনি, এমনকি কোন কোন কন্ডিশনে তাঁর চেয়ে ভাল অপশন খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে যায় টিম ম্যানেজম্যান্টের জন্য।
এই যেমন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটা, মাত্র ১৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়েকে কেবল এই পেসারই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পেরেছেন। তাঁর শুরুর স্পেলের কারণেই মূলত ম্যাচে টিকে থাকতে পেরেছিল পাকিস্তান।
প্রথম দশ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল দুই উইকেটে ৭৫ রান। ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনায় চালকের আসনেই ছিল তাঁরা। কিন্তু এরপরই বোলিং প্রান্তে আসেন এই ডানহাতি, প্রথম বলেই উইকেট। প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় সেট ব্যাটার ডিয়ন মায়ার্সকে।
ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে আবারো স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন আব্বাস, বোল্ড করেন ওয়েসলে মাধেভেরেকে। আর দুই ওভারে তিনি মাত্র পাঁচ রান খরচ করেন, তাতেই রোমাঞ্চ ফিরে আসে ম্যাচে।
ডেথ ওভারেও পাক তারকা ছিলেন অধিনায়কের ভরসা, উনিশতম ওভারে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে আউট করে জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। যদিও শেষমেশ ট্র্যাজিক হিরো হয়েই থাকতে হয়েছে তাঁকে, সতীর্থ বোলারদের ব্যর্থতায় তীরে এসেও তরী ডুবেছে পাকিস্তানের। তাঁদের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের এটা মাত্র তৃতীয় জয়।
ঘরোয়া ক্রিকেটে সম্ভাবনার শতভাগ প্রমাণ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন আব্বাস আফ্রিদি। অভিষেক ম্যাচে ভরসার প্রতিদানও দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন যেন জাতীয় দলে স্থায়ী হতে পারেননি; তবে এবার সুযোগ আসলো। দ্বিতীয় দফায় কি স্থায়ী হতে পারবেন তিনি? সেটাই এখন প্রশ্ন।