টি-টোয়েন্টি ঝড়ের নতুন মহাকাব্য!

কোনো উপমা দিয়ে একে বলা যায় না। কোনো ঝড়, কোনো তুফানই এর সমতূল্য নয়। শুধু এটুকু বলা যায়, ভারতের টি-টোয়েন্টি ঝড়ের ভবিষ্যৎ সঠিক হাতেই আছে। আর সেই হাতটার নাম অভিষেক শর্মা।

কোনো উপমা দিয়ে একে বলা যায় না। কোনো ঝড়, কোনো তুফানই এর সমতূল্য নয়। শুধু এটুকু বলা যায়, ভারতের টি-টোয়েন্টি ঝড়ের ভবিষ্যৎ সঠিক হাতেই আছে। আর সেই হাতটার নাম অভিষেক শর্মা।

ছয় ওভার শেষে বোর্ডে জমা হল ৯৫ রান। ভারতের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ১০ ওভার শেষে সেটা হল ১৪৩! থ্যাঙ্কস টু অভিষেক শর্মা। রোহিত শর্মার ব্যাটনটা যোগ্য হাতেই উঠেছে। রোহিত শর্মার ৩৫ বলে করা টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিটা প্রায় করেই ফেলেছিলেন। অল্পের জন্য হয়নি, তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগারে পৌঁছাতে খেলেছেন রোহিতের চেয়ে দুই বল বেশি।

পাওয়ার প্লে’র ৩৬ টা ডেলিভারির মধ্যে অভিষেক নিজেই খেলেছেন ২১ টা বল। রান করেছেন ৫৮ টি! সেঞ্চুরিতে পৌঁছালেন ইনিংসের একাদশ ওভারের প্রথম বলেই। ব্যাস, লেখা হয়ে গেল নতুন এক ইতিহাস। ভারতের ক্রিকেটের নবাগত ‘শর্মাজি কা বেটা’র রাজ্যাভিষেক হল বেশ ধুমধামের সাথেই। সেঞ্চুরি করতে হাকালেন ১০ টি ছক্কা ও পাঁচটি চার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এত দ্রুত এর আগে কেউ টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি গড়তে পারেননি।

আজকাল এই রকম ব্যাটিং ঝড় কেবল ট্রাভিস হেডের ব্যাটেই দেখা যায়। সেই ট্রাভিস হেড একাই একটা বিশ্বকাপ কেড়ে নিয়েছেন ভারতের হাতের মুঠো থেকে। তবে, ভারত পেয়ে গেছে তাঁদের নিজস্ব ট্রাভিস হেড। তিনি এখন বিশ্বের তাবৎ বোলারদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে উঠছেন।

মজার ব্যাপার হল, অভিষেক শর্মার গড়ে ওঠাও ওই ট্রাভিস হেডের সাথেই। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে এই দু’জন এক সাথেই ব্যাট করতে নামেন। গেল আসরে ব্যাট হাতে এই পাওয়ার প্লে-তেই অবিশ্বাস্য সব কীর্তি করেছেন এই দু’জন।

এবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও পাওয়ার প্লে-র সেই ঝড় অব্যহত থাকল। পাওয়ার প্লে থামল কিন্তু অভিষেক শর্মার ঝড় থামল না। তিনি অবিচল গতিতে ব্যাট চালিয়ে গেলেন। একের পর এক ছক্কা হাকাতে লাগলেন। আর সেই সেই ছক্কায় লেখা হয়ে গেল নতুন ইতিহাস। আর সেই ইতিহাস থেকে ঠিকরে বের হবে ভারতীয় টি-টোয়েন্টি পতাকার আভিজাত্য।

Share via
Copy link