গেইলের পথেই হাঁটছেন অভিষেক!

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং ঝড়। আর এই ঝড়ের সূচনাটা করেছিলেন 'ইউনিভার্স বস' ক্রিস গেইল। এখন অবশ্য তিনি কেবলই অতীত, তবে তাঁর রাজত্বের পরবর্তী শাসক কে হবেন? উত্তরটা হতে পারে ভারতের অভিষেক শর্মা। দুজনের ক্যারিয়ারের প্রথম ২০ ম্যাচের তুলনা অন্তত সে কথারই ইঙ্গিত করে। 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মানেই ব্যাটিং ঝড়। আর এই ঝড়ের সূচনাটা করেছিলেন ‘ইউনিভার্স বস’ ক্রিস গেইল। এখন অবশ্য তিনি কেবলই অতীত, তবে তাঁর রাজত্বের পরবর্তী শাসক কে হবেন? উত্তরটা হতে পারে ভারতের অভিষেক শর্মা। দুজনের ক্যারিয়ারের প্রথম ২০ ম্যাচের তুলনা অন্তত সে কথারই ইঙ্গিত করে।

২০ টি–টোয়েন্টি শেষে অভিষেক শর্মার সংগ্রহ ৬৩৪ রান। গড় ৩৩.৩৬। তাঁর ১৯৮.১২ স্ট্রাইক রেট চোখ কপালে তোলার মতো! প্রতিবারই ব্যাটিংয়ের দর্শন একটাই—প্রথম বল থেকেই আক্রমণ।

অন্যদিকে, গেইলের প্রথম ২০ ম্যাচের চিত্রটাও বেশ উজ্জ্বল ছিল। ৩২.৪৭ গড়ে সংগ্রহ করেছিলেন ৬১৭ রান। তবে তাঁর স্ট্রাইক রেট ছিল ১৪৪.৪৯। অর্থাৎ রান প্রায় সমান হলেও ঝড়ো ব্যাটিংয়ের বিচারে অনেকটা এগিয়ে অভিষেক।

পঞ্চাশোর্ধ ইনিংসের দিক থেকেও তুলনাটা জমজমাট। অভিষেকের নামের পাশে চারটি ফিফটি প্লাস নক—দুটি সেঞ্চুরি, দুটি হাফসেঞ্চুরি। বিপরীতে গেইলের ছিল ছয়টি—একটি সেঞ্চুরি ও পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি।

গেইলের এই সেঞ্চুরিটি এসেছিল ২০০৭ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। করেছিলেন ৫৭ বলে ১১৭ রান। অন্যদিকে অভিষেকের সেরা ইনিংসটি ১৩৫ রানের, যা খেলেছেন চলতি বছরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।

জয়ের ম্যাচগুলোতে দুই ব্যাটারের অবদানও চোখে পড়ার মতো। অভিষেক ভারতের জয় পাওয়া ১৭ ম্যাচে করেছেন ৬০৬ রান, গড় ৩৭.৮৭, স্ট্রাইক রেট ২০৪। অন্যদিকে গেইল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় পাওয়া ৬ ম্যাচে করেছিলেন ২৫৩ রান, গড় ৪২.১৬। অর্থাৎ ম্যাচ জেতানোর ভূমিকায় দুজনেই সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন, তবে সংখ্যার বিচারে অভিষেক এগিয়ে।

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গেইল আজ কিংবদন্তি। অভিষেকের পথচলা কেবল শুরু। তবে মাত্র ২০ ম্যাচ খেলেই যদি তাঁর ব্যাটিং এমন তুলনায় উঠে আসে, তবে বোঝাই যায় সামনে তিনি কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন। তাই বলায় যায়, ভারতীয় ক্রিকেটে হয়তো জন্ম নিচ্ছে নতুন এক ‘ইউনিভার্স বস’!

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link