একপ্রান্ত থেকে উইকেট যাচ্ছে। চোখের নিষিষে টপ অর্ডার সাজঘরে। ছেলেবেলার বন্ধু শুভমান গিল, সাঞ্জু স্যামসন, অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব কিংবা তিলক ভার্মা – কেউ তাঁর সাথে তাল মেলাতে পারলেন না। আসলে অভিষেক শর্মার সাথে একই সমান্তরালে হাঁটা সবার কর্ম নয়।
প্রথম ছয় ব্যাটারের কেউ যখন ১০০ স্ট্রাইক রেটেও ব্যাট চালাতেও ব্যর্থ হন, তখন অভিষেক শর্মা চালালেন তাণ্ডব। বড় একটা সময় ২০০ স্ট্রাইক রেট রেখেই ব্যাটিং করলেন। মাত্র ২২ বলে পৌঁছে যান হাফ সেঞ্চুরির মাইলফলকে।

কেবল হার্ষিত রানাই বেশ ক্ষানিকক্ষণ সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করে গেলেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে দু’জন মিলে ৫৬ রান যোগ করলেন। এরপর আবারও ডুবে যায় ভারতের ব্যাটিং। শেষ পাঁচ উইকেটের পতন হয় মাত্র ২০ রানের মধ্যে। ভারত বোর্ডে জমা করে মাত্র ১২৫ রান।
অভিষেক শর্মা ১৯ তম ওভারে নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৭ বলে করেন ৬৮ রান। মানে বাকি নয় ব্যাটার মিলে করেন মাত্র ৫৭ রান। এখান থেকে হার্ষিত রানার ৩৫ রান বাদ দিলে থাকে মাত্র ২২ রান। মানে অভিষেক শর্মার ব্যাটিং আর ওই এক জুটি বাদ দিলে ভারতের ব্যাটিংয়ে আরও কিছুই ছিল না।

দুই ছক্কা আর আট চারে সাজানো ইনিংসে তিনি ম্যাচের পরিস্থিতি মাথায় রাখেননি একদমই। বরং নিজের চিরায়ত আক্রমণের ধারাটাই বজায় রাখেন। আর এই জায়গাটাতেই অভিষেক শর্মা ভারতের জন্য অভিনব এক আবিস্কার।










