অভিষেকের বিধ্বংসী রূপ

বোলাদের উপর রীতিমত বুলডোজার চালালেন সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ব্যাটার অভিষেক শর্মা। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে তাঁর এবং ট্রাভিস হেডের ব্যাটিং তান্ডবে ১০ উইকেটের বিশাল জয় পায় হায়দ্রাবাদ।

লখনৌয়ের বোলারদের ‘ছেড়ে দে মা, কেঁদে বাঁচি’ অবস্থা করে ছাড়লেন বাঁ হাতি এই ব্যাটার। একের পর এক নান্দনিক শটে মুগ্ধ করেন হায়দ্রাবাদের দর্শকদের। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে ব্যাট করতে নামে অভিষেক শর্মা। ২২ গজে তাঁর ইম্প্যাক্ট পুরোই দৃশ্যমান। তাছাড়া ট্রাভিস হেডকে নিয়ে গড়েছেন ১৬৭ রানে বিশাল পার্টনারশীপ। উভয়েই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন।

মাত্র ২৮ টি বল খেলে করেন ৭৫ রান। ৮ চার এবং ৬ ছক্কায় সাজানো ছিল তাঁর ইনিংস। আর স্ট্রাইক রেট ছিলো আকাশচুম্বী। সেটা ২৬৭ এর উপরে। শুরু থেকেই হাত খুলে চড়াও হোন লখনৌয়ের বোলারদের উপর। চার আর ছয়ের বৃষ্টি ঝরে পড়ছিল সেই ইনিংসে।

মাত্র ১৯ টি বল খেলেই দেখা পান অর্ধশতকের। তবে অর্ধশতকের পর যেন আরো গতি পান এই ব্যাটার। পরের ৯ বলে করেন ২৩ রান। অর্থাৎ লখনৌয়ের বোলারদের জন্য হায়দ্রাবাদের এই ইনিংস দুঃস্বপ্নই হয়ে থাকবে।

হায়দ্রাবাদের জন্য ২০ ওভারে ১৬৬ রানের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করে দেয় লখনৌ। আপাত দৃষ্টিতে স্বাভাবিক একটা লক্ষ্যমাত্রা। তবে হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার ২২ গজে নামলে বদলে যায় সব পরিসংখ্যান। মাত্র ১৩ বলে ৫০, ৩৪ বলে ১০০ আর ৫০ বলে ১৫০ রান স্পর্শ করে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। সংখ্যাগুলোই বলে দেয় কতটা ভয়ংকরী ছিলেন হায়দ্রাবাদের এই দুই ব্যাটার। অন্যদিকে ট্রাভিস হেড ৩০ বলে ২৯৬ এর মতো স্ট্রাইক রেট নিয়ে করেন ৮৯ রান!

এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) সবগুলো দলই মোটামুটি রানের পাহাড় গড়ে চলেছে। বোলারদের উপর তান্ডব চালানোর দিক থেকে সবার আগে হায়দ্রাবাদের ব্যাটাররাই এগিয়ে থাকবেন। আর হায়দ্রাবাদের ব্যাটার নিয়ে কথা বললে এই তরুণ বাঁ হাতিকে এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। বলাই যায় উজ্জল এক ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে এই ভারতীয়র জন্যে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link