চট্টগ্রামে শেষ হাসি আফগানদের

ব্যাটারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্স আর ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ মিসের মহড়ায় গুরবাজের সেঞ্চুরিতে সিরিজের শেষ ওয়ানডেতে আফগানিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে শেষ করলো স্বাগতিকরা।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে আসে ৪৩ রান। এরপর দলীয় ৪৩ রানে টানা তৃতীয়বারের মতো ফজল হক ফারুকির কাছে শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১১ রানে আউট হন তামিম ইকবাল। সাকিব আল হাসানের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই এগোতে থাকেন লিটন।

দ্বিতীয় উইকেটে ৬১ রানের জুটির পথে অসাধারণ এক ফিফটি তুলে নেন লিটন দাস। এরপর দলীয় ১০৪ রানে ব্যক্তিগত ৩০ রানে সাকিব ফিরলে ছন্দপতন হয় বাংলাদেশের! দ্রুতই ফিরেন মুশফিকুর রহিম ও ইয়াসির আলি। ১২৫ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে তখন বিপাকে বাংলাদেশ। একপ্রান্তে তখন বেশ ভালোই খেলছিলেন লিটন! ধীরে ধীরে এগোচ্ছিলেন ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরির দিকে।

এরপর দলীয় ১৫৭ রানে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে মোহাম্মদ নবির বলে লিটন ফিরলে মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। এক ওভারের ব্যবধানেই শেষ আফিফও! একে একে আফিফ, মিরাজ, তাসকিনরা ফিরলে প্রতিরোধ গড়তে পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। একপ্রান্তে উইকেট হারালেও আরেকপ্রান্তে দ্রুত রান তুলতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন রিয়াদ। একই ওভারে শরিফুল-মুস্তাফিজ রান আউটের শিকার হলে মাত্র ১৯২ রানে গুড়িয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস!

জবাবে সহজ লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ৭৯ রান তুলে দুই আফগান ওপেনার রিয়াজ হাসান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এই দুই ওপেনারের ব্যাটেই জয়ের ভীত পায় আফগানিস্তান। এরপর ৭৯ রানে সাকিবের বলে স্টাম্পিংয়ের শিকার হয়ে রিয়াজ ৩৫ রানে ফিরলেও রহমাত শাহকে নিয়ে দ্রুত রান তুলতে থাকেন গুরবাজ।

একপ্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত এক ফিফটিও তুলে নেন এই ওপেনার। দু’জনের ব্যাটে ধীরে ধীরে জয়ের দিকে এগোতে থাকে আফগানরা। মাঝে মুশফিক ও রিয়াদের সহজ ক্যাচ মিসে জীবন পান রহমত-গুরবাজরা! ১২২ বলে দু’জনে মিলে গড়েন সেঞ্চুরির জুটি।

হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৩ রান দূরে থাকতে ৬৭ বলে ৪৭ রানে আউট হন রহমত শাহ। এরপর হাশমতউল্লাহ শাহিদিও দ্রুত ফিরলেও একপ্রান্তে দুর্দান্ত খেলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন গুরবাজ। শেষ পর্যন্ত গুরবাজের অপরাজিত ১১০ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ১০৬ রানে ৯.৫ ওভার বাকি থাকতে ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় আফগানিস্তান।

  • সংক্ষিপ্ত স্কোর

বাংলাদেশ – ১৯২/১০ (৪৬.৫ ওভার); লিটন ৮৬(১১৩), সাকিব ৩০(৩৬), মাহমুদউল্লাহ ২৯(৫৩); রশিদ ১০-০-৩৭-৩, নবি ১০-০-২৯-২, ওমরজাই ৬-০-২৯-১।

আফগানিস্তান – ১৯৩/৩ (৪০.১ ওভার); গুরবাজ ১০৬(১১০)*, রহমত ৪৭(৬৭), রিয়াজ ৩৫(৪৯); সাকিব ১০-০-৪৭-১, মিরাজ ৮.১-০-৩৭-২।

ফলাফল: আফগানিস্তান ৭ উইকেটে জয়ী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link