প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে সেমিফাইনালে উঠেছিল আফগানিস্তান। তাঁদের সামনে প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সুযোগ ছিল চোকার্সদের হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যাওয়ার। তবে সেই স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকান বোলররা।
ইয়ানসেন-রাবাদাদের বোলিং তোপে মাত্র ৫৬ রানেই গুটিয়ে যায় আফগানিস্তানের ইনিংস। ফলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল তো বটেই এমনকি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের ইতাহাসেরও সর্বনিম্ন রান করে আফগানিস্তান।
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় সবার উপরে ছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তাঁর ব্যাটে ভর করেই ফাইনালের স্বপ্ন দেখছিল আফগানিস্তান। তবে প্রথম ওভারেই গুরবাজকে আউট করে তাঁদের স্বপ্ন গুড়িয়ে দেন ইয়ানসেন। রাবাদা ও ইয়ানসেনের বোলিং তোপে মাত্র ২৩ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি আফগানিস্তান। তাঁদের দেওয়া ৫৭ রানের লক্ষ্য সহজেই অতিক্রম করে প্রটিয়ারা।
এর আগে নকআউট পর্বের সর্বনিম্ন রানের তালিকায় প্রথমে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০০৯ সালের সেমিফাইনালে তিলকারত্মে দিলশানের ৯৬ রানের সুবাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৫৯ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ক্রিস গেইল উদ্বোধনীতে নেমে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকলেও অপর প্রান্তে কোনো ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরেও পৌছাতে পারেনি। ফলে মাত্র ১০১ রানেই ইনিংস শেষ করতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে ম্যাথিউস ও মুরালিধরন ৩ টি করে উইকেট শিকার করেন।
২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আবারও দেখা হয় শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের। এবার ২০০৯ বিশ্বকাপের প্রতিশোধ নেন ক্যারিবিয়ানরা। মারলন স্যামুয়েলসের অসাধারণ ৭৮ রানের ইনিংসের সুবাদে ১৩৭ রানের লড়াকু স্কোর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে সুনিল নারাইন এর বোলিং তোপে ১০১ রানেই অল আউট হয় শ্রীলঙ্কা। যা বর্তমানে বিশ্বকাপের নক আউট পর্বের ইতিহাসে যৌথ ভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর।
এই তালিকায় ১২৩ রান নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে আছে পাকিস্তান। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১২৩ রান করতে সক্ষম হয় পাকিস্তান। এর আগে ব্যাট করে জয়বর্ধনে ও দিলশানে্র উদ্বোধনী জুটির উপর ভর করে ১৩৯ রান করেছিল শ্রীলঙ্কা। ফলে ম্যাচটি ১৬ রানে হারতে হয় পাকিস্তানকে ।