পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি সিনড্রোম

এই সময়ে দু’জনেরই মনে হল, ‘সময় কাটছে না, যাই একটু অবসর নিয়ে আসি!’ যে ভাবা সেই কাজ। প্রায় একই সাথেই ‍দু’জন অবসরের ঘোষণা জানিয়ে দিলেন। আরেকটিবার। এটাই তো শহীদ আফ্রিদি সিনড্রোম।

‘সময় কাটছে না, যাই একটু অবসর নিয়ে আসি!’ – এই ব্যাপারটা শহীদ আফ্রিদি শিখিয়ে দিয়েছিলেন পাকিস্তানকে। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, অবসরটা চাইলেই নেওয়া যায়। আবার প্রয়োজনে ফিরেও আসা যায়। এর আগে অবশ্য ইমরান খান কিংবা জাভেদ মিয়াঁদাদও পাকিস্তান ক্রিকেটে অবসর নিয়ে আবার ফিরে এসেছেন।

তবে, বিষয়টাকে পাকিস্তান ক্রিকেটে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছেন কেবল একজনই। তিনি শহিবজাদা মোহাম্মদ শহীদ খান আফ্রিদি। ক্যারিয়ারজুড়ে তিনি অসংখ্যবার অবসর নিয়েছেন, ফিরেছেন। অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরেছেন – অধিনায়কত্বও করেছেন।

২০১৭ সালে চূড়ান্ত অবসর নেন আফ্রিদি। সেটা-সহ ক্যারিয়ারে তাঁর অবসর নেওয়ার সংখ্যা পাঁচটি। সেই শহীদ আফ্রিদি এখন পাকিস্তান ক্রিকেটেই অতীত। ক্যারিয়ারজুড়ে এতবার অবসর নিয়েছেন যে, পাকিস্তানের হয়ে আদৌ তাঁর বিদায়ী ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়নি। আফ্রিদি না থাকলেও তাঁর সিনড্রোম পাকিস্তান ক্রিকেটে আজও আছে।

এই যেমন মোহাম্মদ আমির কিংবা ইমাদ ওয়াসিম। গেল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দু’জনই অবসর ভেঙে ফিরেছিলেন পাকিস্তান দলে। পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ভরাডুবির সাক্ষী হয়েছেন। বিশ্বকাপ শেষ। তাঁরাও দলের বাইরে।

এই সময়ে দু’জনেরই মনে হল, ‘সময় কাটছে না, যাই একটু অবসর নিয়ে আসি!’ যে ভাবা সেই কাজ। প্রায় একই সাথেই ‍দু’জন অবসরের ঘোষণা জানিয়ে দিলেন। আরেকটিবার। এটাই তো শহীদ আফ্রিদি সিনড্রোম। এটাই তাঁদের শেষ প্রস্থান নাকি – সেটা অবশ্য নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই।

কারণ, আমিরের বয়স ৩২ আর ইমাদের ৩৫। এই বয়সেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে তো বাঁধা নেই। হয়তো আবারও কোনো আইসিসি ইভেন্টের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মনে হতে পারে, তাঁদের ফেরানো দরকার। তাঁরাও হয়তো ফিরে আসবেন। এভাবেই চলছে পাকিস্তান ক্রিকেট। এখানেই চাইলেই অবসর নেওয়া যায়, আবার অবসর ভেঙে ফেরাও যায়।

Share via
Copy link