রোহিতের কাছে বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন সৌরভ

টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব কখনো নিতে চাননি রোহিত শর্মা। রাজি করাতে গিয়ে অনেকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তবুও বার বার কড়া নেড়েছেন রোহিতের দরজায়।

টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব কখনো নিতে চাননি রোহিত শর্মা। রাজি করাতে গিয়ে অনেকবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তবুও বার বার কড়া নেড়েছেন রোহিতের দরজায়।

২০২২ সালের জানুয়ারি—বিরাট কোহলি হঠাৎ টেস্ট দলের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে দেশে ফিরেই সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিলেন সবার সামনে। ভারতের টেস্ট ক্রিকেটে শুরু হলো নতুন অধ্যায়ের খোঁজ। বোর্ড প্রেসিডেন্ট সৌরভ গাঙ্গুলির চোখে তখন একমাত্র ভরসা, রোহিত শর্মা। তবে রোহিতকে রাজি করানোটা মোটেও সহজ ছিল না তাঁর জন্য।

রোহিত তখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের সফল অধিনায়ক, ভারতের সাদা বলের ক্রিকেটেও আস্থার ছাপ রেখে চলেছেন। তাঁর সেই অভিজ্ঞতাটা টেস্ট ক্রিকেটেও কাজে লাগাতে চাইলেন সৌরভ।

পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই অজানা গল্পই শুনিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তাঁর কণ্ঠেই ধরা পড়ল, রোহিতকে রাজি করাতে কতটা কৌশল আর আবেগের আশ্রয় নিতে হয়েছিল তাকে।

সৌরভ বলেন, ‘আমরা সব সময় চেয়েছিলাম বিরাটই নেতৃত্বে থাকুক। কিন্তু ওর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত ছিল। এরপর আমরা রোহিতের দিকেই তাকাই। আমি বরাবর বিশ্বাস করতাম, ও দারুণ একজন অধিনায়ক। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটের দায়িত্ব নিতে শুরুতে রোহিত আগ্রহ দেখায়নি। ওয়ার্কলোড, বয়স, ইনজুরি—সবকিছু মিলিয়েই ওর মধ্যে একটা দ্বিধা ছিল।’

কোন কিছুতেই যখন রাজি হননি, ঠিক তখনই সৌরভ নিলেন ভিন্ন কৌশল। আবেগ দিয়ে ছুঁয়ে দিলেন রোহিতকে।তিনি বলেন, “আমি ওকে বলি—তুমি কি সত্যিই টেস্ট দলের অধিনায়ক না হয়েই ক্যারিয়ার শেষ করতে চাও? কথাটা শুনেই রোহিত থমকে যায়। দু’দিন সময় নিয়ে এরপর রাজি হয়।

এই সিদ্ধান্তের পরই শুরু হয় রোহিতের টেস্ট নেতৃত্ব অধ্যায়। এরপর থেকে চ্যালেঞ্জ, ইনজুরি, সমালোচনা—সব পেরিয়ে রোহিতের অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ারটা খুব একটা খারাপ যায়নি।

রোহিত শর্মার সবচেয়ে বড় গুণ সব জায়গায় সে মানিয়ে নিতে পারে এবং নিয়েছিলেনও তাই। তবে শেষমেশ বয়সের ভারটা হয়তো আর মানিয়ে নিতে পারেননি। তবে কালক্ষেপণ না করে সরেও দাঁড়িয়েছিলেন যখন বুঝেছেন সময়টা শেষ।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link