টেস্টে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ডাবল সেঞ্চুরি আছে পাঁচটি, এর মধ্যে মুশফিকুর রহিম একাই করেছেন তিনটি। চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিও প্রায় পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের প্রথম ইনিংসে তাঁকে ফিরতে হয়েছে ১৯১ রানে। তবে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে যা করেছেন সেটা অতিমানবীয় বটে, তাঁর এমন ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ।
তাই তো সামাজিক মাধ্যম জুড়ে চলছে মুশফিক বন্দনা, বিভিন্ন একাউন্ট থেকে প্রশংসাসূচক বাক্য পোস্ট করা হচ্ছে তাঁর উদ্দেশ্যে। তবে সবচেয়ে আলোচিত হয়েছে বাবর আজমের সঙ্গে তাঁকে তুলনা করা একটি পোস্ট।
পাকিস্তানের এক ক্রিকেট ভক্ত লিখেন, ‘ফিট বাবরের চেয়ে আনফিট মুশফিকুর রহিম (৩৭ বছর ১০৭ দিন) ভাল।’ – মূলত চলতি টেস্টে বাবরের ব্যর্থতাকে ব্যঙ্গ করেই এমনটা বলেছেন তিনি, তবে মুশফিক যেভাবে তরুণদের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করে যাচ্ছেন সেটাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এতে।
এছাড়া আরো অনেকেই টাইগার তারকার ইনিংসে মুগ্ধ হয়েছে। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসেও তিনি মনোযোগ আর ধৈর্যের যে প্রদর্শনী দেখিয়েছেন তাতে সব পরিচয় ভুলে বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা টুপিখোলা অভিবাদন জানিয়েছে তাঁকে। যাদের বিপক্ষে এমন ইনিংস সেই পাকিস্তানিরাও বিভিন্নভাবে সম্মান জানিয়েছে তাঁর প্রতি।
এর আগে পাকিস্তানের মাটিতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছিলেন জাভেদ ওমর। ২০০৩ সালে পেশওয়ার টেস্টে ১১৯ রান করেছিলেন তিনি, দীর্ঘ ২১ বছর পর তাঁর রেকর্ড দখলে নিলেন মুশফিক। অবশ্য বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের কীর্তিও মি.ডিপেন্ডেবলের দখলেই; জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৯ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।
এখন দেখার বিষয়, তিনি নিজেকে কতটা উপরে নিয়ে যেতে পারেন। গত প্রায় এক দশকের হিসেবে বিশ্বের অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটার বলা যায় তাঁকে, ক্যারিয়ারের বাকি সময় এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেই হবে।