আকবারের সুপ্ত ভয়ংকর রুপে হতভম্ব হংকং

স্রেফ ১৩ বলের এক ক্ষণস্থায়ী মহাপ্রলয়। ছয় খানা ছক্কার ৪১ রানের ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ৩১৫। পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বাউন্ডারিকেও যেন আকবর পরিণত করেছিলেন সিক্স এ সাইড বাউন্ডারিতে।

এক টানা পাঁচ ছক্কা, আকবর আলী দেখালেন তার ভেতরকার আক্রমণাত্মক সত্ত্বা। হংকং, চায়নার বিপক্ষে আকবরের দ্রুত ম্যাচ শেষ করার তাড়না। আর সেই তাড়নার আগুনে ভষ্ম হয়েছেন কিঞ্চিৎ শাহ। এমন আগ্রাসনের তোপে তলানিতে হংকংয়ের সমস্ত আত্মবিশ্বাস।

এদিন অবশ্য আকবরের আলোচনার কেন্দ্রে থাকার কথাই নয়। কেননা হাবিবুর রহমান সোহান যে গড়ে ফেলেছেন রেকর্ড। যেকোন পর্যায়ের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটারদের মধ্য দ্রুততম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন সোহান।

৩৫ বলে ১০০ রানের ইনিংসে তিনি মোট ১৮ বার বলকে করেছেন বাউন্ডারি ছাড়া। যার দশটিই আবার সুবিশাল ছক্কা। এমন দিনে সোহানই হওয়ার কথা প্রশংসার নিউক্লিয়াস।

তার মারকারটারি ব্যাটিংই তো গড়ে দিয়েছিল বাংলাদেশের জয়ের ভীত। কিন্তু আকবর একেবারেই ছেড়ে কথা বললেন না। তার ব্যাটিং সক্ষমতাকে প্রায়শই প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়। সুযোগ পেয়ে তিনি দেখিয়ে দিলেন, তার মধ্যে নেই কোন ভয়।

স্রেফ ১৩ বলের এক ক্ষণস্থায়ী মহাপ্রলয়। ছয় খানা ছক্কার ৪১ রানের ইনিংসটির স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ৩১৫। পূর্ণ দৈর্ঘ্যের বাউন্ডারিকেও যেন আকবর পরিণত করেছিলেন সিক্স এ সাইড বাউন্ডারিতে। ক’দিন আগে হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্ট খেলার অভিজ্ঞতা একেবারে বিফলে যায়নি।

আকবরের রুদ্রমূর্তির আসল উত্তাপটা টের পেয়েছেন মূলত কিঞ্চিৎ। ১১ তম ওভারে একটানা পাঁচ ছক্কা হজম করেছেন হংকংয়ের এই খেলোয়াড়। এমন বেধম প্রহার মেনে নেওয়া বড্ড কঠিন। তবে আকবরের মুখে ছিল চওড়া হাসি। তিনি জানেন দুই দলের ব্যবধানে পার্থক্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখানোর আনন্দ।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link