সত্যিই আকবর ‘গ্রেট’ এক ম্যাচ উইনার

৬১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় রংপুরের। তখন ক্রিজে আসেন আকবর। এরপর সাত ওভার দুই বলের জুটি গড়েন দু’জন। সেখানে রান আসে ১০৩ টি। ৪৫ বলে ৭১ রান করে তানবির ফিরে গেলেও শেষ অবধি ছিলেন আকবর।

আকবর আলীর ওপর বাংলাদেশের ভরসার শেষ নেই। তাঁর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট ভবিষ্যতের অধিনায়ককে দেখতে চায়। কেউ হয়তো ফিনিশার রোলেও আকবরের ভূমিকা রাখার সুযোগ দেখতে পারেন। তবে, এই আশাবাদের মধ্যে সংকট আছে। পারফরমার আকবরের মধ্যে ধারাবাহিকতার বড্ড অভাব।

২০২০ সালে অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতিয়েছেন। ফাইনালে তাঁর খেলা ইনিংস লেখা হয়ে গেছে বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায়। সেই দলের সতীর্থদের সিংহভাগ যখন জাতীয় দলে নাম লিখিয়ে ফেলেছে, সেখানে আকবর এখনও আছেন বেশ দূরে।

রক্ষণাত্মক হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে আকবরের অধিনায়কত্ব বেশ প্রশংসিত। তবে, প্রশ্ন ওঠে তাঁর পারফরম্যান্সে। কিন্তু, এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে আর এই সংক্রান্ত সমালোচনার ভাগীদার হতে চাইলেন না বিশ্বজয়ী এই অধিনায়ক। ব্যাট হাতে প্রমাণ করলেন তিনি সত্যিই আকবর, দ্য গ্রেট।

রাজশাহীর ১৯০ রানের দেওয়া লক্ষ্যে যে রংপুর অনেকটা হেসেখেলেই পৌঁছে গেল, তাঁর মূল কাণ্ডারি অধিনায়ক আকবর। শুরুটা করে দিয়ে যান তানবির হায়দার। মেকশিফট ওপেনার হিসেবে নামা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার শুরুতে ধীরগতিতে খেললেও ধীরে ধীরে রানের গতি বাড়ান।

৬১ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয় রংপুরের। তখন ক্রিজে আসেন আকবর। এরপর সাত ওভার দুই বলের জুটি গড়েন দু’জন। সেখানে রান আসে ১০৩ টি। ৪৫ বলে ৭১ রান করে তানবির ফিরে গেলেও শেষ অবধি ছিলেন আকবর।

১৮ তম ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তিনি। ২৯ বলের ইনিংসে ছক্কাই ছয়টি। বাউন্ডারি চারটি। মানে ৫২ রান তিনি স্রেফ বাউন্ডারি থেকেই নিয়েছেন। অপরাজিত ছিলেন ৬৮ রানে। মানে বাকি ১৯ বল থেকে দৌঁড়ে রান করেন ১৬ টি। পরিপূর্ণ এক টি-টোয়েন্টি নক। আকবরের ক্যারিয়ারটাও এবারে পূর্ণতা পেয়ে যাক এই ধারাবাহিকতায়। তাহলে লাভবান হবে বাংলাদেশ ক্রিকেটই!

Share via
Copy link