হোয়াট্টা ক্যাচ! হোয়াট্টা বিউটিফুল ক্যাচ। অ্যালেক্স ক্যারি যেন বাঁজপাখি। আকাশে উড়লেন, ফাঁদে ফেললেন ফিল সল্টকে। যিনি একবার টিকে গেলে কি করতে পারেন সবাই জানে। অনভিজ্ঞ বোলিং লাইন আপকে বুস্ট আপ করতে এমন ফিল্ডিংই দরকার ছিল।
সেই কাজটাও এমন একজন করলেন যিনি আদতে উইকেটরক্ষক। কিন্তু, মাঠের ফিল্ডিংয়েও যে তিনি যোগ্য সেটার প্রমাণ তো হলই, সাথে অস্ট্রেলিয়ার জন্য লাহোরের মাঠে দারুণ এক সূচনা এনে দিলেন তিনি। ফিল সল্ট আগের ওভারেই এক চার আর এক ছক্কা হাঁকান। স্পেন্সার জনসন চোখে মুখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেন। তবে, সেই অন্ধ চোখে আলো ফিরিয়ে আনেন অ্যালেক্স ক্যারি।

১৩০.৫ কিলোমিটার বেগে বোলিং করেছিলেন বেন ডারশুইস। লেগ স্টাম্প বরাবর ফুল লেংথ ডেলিভারি। ফিল সল্ট একটু সরে জায়গা করে নিয়েছিলেন, উদ্দেশ্য—ওয়াইড মিড-অন দিয়ে বলটা সীমানার ওপারে পাঠানো। ব্যাটে সংযোগ হয়েছিল, টাইমিং হয়নি। কিন্তু, সেটা অন্তত একটা বাউন্ডারি হওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।
কিন্তু, অ্যালেক্স ক্যারি যেন গল্পটা অন্যভাবে লেখার জন্যই দাঁড়িয়ে ছিলেন! ডানদিকে ঝাঁপ দিলেন, যেন ওড়ার জন্যই জন্ম তাঁর! একহাতে বলটা শূন্য থেকে টেনে নিলেন মাটিতে পড়ার আগেই। মিড-অন অঞ্চলে এমন শিকার সচরাচর দেখা যায় না। ফিল সল্ট হতবাক, ডারশুইস উল্লাসে মেতে ওঠেন। আর ক্যারিও হতভম্ব তিনি তো নিজের হাতের দিকে তাকিয়ে ভাবছেন—এটা কীভাবে সম্ভব হল!

দু’দিন আগেই করাচির মাঠে কভার পয়েন্টে অবিশ্বাস্য ক্যাচ নিয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপস। বিস্ময় নিয়ে সাজঘরে ফিরেছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এবার সেই ক্যাচকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চলে আসলেন অ্যালেক্স ক্যারি। টুর্নামেন্ট সেরা ক্যাচের লড়াইটা এবার দারুণ জমে উঠল! ষষ্ঠ ওভারে একই জায়গায় নিলেন জেমি স্মিথের ক্যাচ। ম্যাচটাও এবার জমে উঠল!










