চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মাঝপথে শিখর ধাওয়ান যখন চোটে পড়েন তখন পাঞ্জাব কিংস তাঁদের অধিনায়ক হিসেবে বেছে নিয়েছিল স্যাম কারেনকে। কিন্তু টিম ম্যানেজম্যান্টের আস্থার প্রতিদান সেই অর্থে দিতে পারেননি; দলও বাদ পড়েছে প্লে-অফের দৌড় থেকে। তবে শেষদিকে কিছুটা শাপ মোচন করলেন তিনি, অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্সে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসকে।
এবারের আইপিএলের প্রথম বারো ম্যাচে মাত্র ২০ গড় আর ১১৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। অন্যদিকে বল হাতে ১৪ উইকেট পেলেও ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ১০ রানের বেশি। কিন্তু তেরোতম ম্যাচে এসে তাঁর পারফরম্যান্সে বদল আসলো; দুর্দান্ত রূপে আবির্ভূত হলেন তিনি।
এদিন তিন ওভার বোলিং করে মাত্র ২৪ রান খরচ করেছেন এই অলরাউন্ডার, বিনিময়ে শিকার করেছেন গুরুত্বপূর্ণ দুইটি উইকেট। এরপর আবার ব্যাটিংয়ে নেমে খেলেছেন ৪১ বলে ৬৩ রানের অপরাজিত এক ইনিংস। তাঁর এমন দিনে সহজ জয় পেয়েছে পাঞ্জাব; রাজস্থানের ছুঁড়ে দেয়া ১৪৫ রানের টার্গেট পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই টপকে গিয়েছে তাঁরা।
ম্যাচের শুরুতে পাঞ্জাবকে ফিল্ডিংয়ে পাঠিয়েছিলেন সাঞ্জু স্যামসন। সেই সিদ্ধান্ত বোধহয় পছন্দ হয়নি কারানের, তাই তো প্রথম ওভারেই যশস্বী জয়সওয়ালকে ফিরিয়ে কাল্পনিক প্রতিবাদ জানান। মাঝের ওভারে পুনরায় আক্রমণে এসে ধ্রুব জুরেলের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি।
বোলার হিসেবে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েও মন ভরেনি এই বাঁ-হাতির। সেজন্য পাঁচ নম্বর ব্যাটার হিসেবে চলে এসেছিলেন বাইশ গজে, তারপর আর দলকে পথ হারাতে দেননি তিনি। ৩৬ রানে তিন উইকেট ও ৪৮ রানে চার উইকেট হারানো পাঞ্জাবকে একাই টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন জয়ের দিকে – এরই মাঝে ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তাঁর।
শেষদিকে আশুতোষ শর্মাকে সঙ্গী করে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন ইংরেজ তারকা। যদিও আত্মবিশ্বাস বাড়ানো ছাড়া আর কোন কাজে লাগবে না এই জয়; বরং আক্ষেপ বাড়াবে সমর্থকদের। কেননা টুর্নামেন্টের প্রথম থেকে তিনি এমন অলরাউন্ডিং পারফরম্যান্স দেখাতে পারলে পাঞ্জাবের গল্পটা ভিন্ন হলেও হতে পারতো।