ভারতের বিশ্বকাপ বিকল্প আমিরাত

ভারতে করোনা ভাইরাস জনিত পরিস্থিতির অবনতি হওয়াতে দেশটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চিয়তা। তাই বাধ্য হয়ে ইতোমধ্যে ভারতের বিকল্পও ভাবা শুরু করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতে আয়োজন করা না গেলে বিকল্প দেশ হিসাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ঠিক করে রেখেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর। কিন্তু হাতে এখনো প্রায় ছয় মাস সময় থাকাতে এখনি চূড়ান্ত সিদ্বান্ত নিতে রাজি নয় আইসিসি। তবে দেশটির করোনা পরিস্থিতি ভালো ভাবেই পর্যবেক্ষণে রেখেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

ভারতে সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার পরেও চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়াম লিগের (আইপিএল) ১৪ তম আসর। কিন্তু আইপিএল বন্ধ করার জন্য চারদিকে প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আইপিএল বন্ধ হয়ে গেলে আবার বিশ্বকাপ আয়োজন করা কঠিনই হবে ভারতের জন্য। তাই স্বাভাবিক ভাবেই বিকল্প চিন্তা করতে হচ্ছে আইসিসিকে।

কিছু দিন আগে আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালারডাইস জানিয়েছিলেন ভারতেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তারা। তিনি তখন আরো বলেছিলেন পরিস্থিতি যদি আরো খারাপ হয় তবে তাঁর জন্য বিকল্প পরিকল্পনা করবে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। অবশেষে পরিস্থিতি খারাপ হওয়াতে বিকল্পই ভাবতে হচ্ছে আইসিসিকে।

ভারতের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই)  কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে করে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে বিশ্বকাপের ভেন্যুও। বিশ্বকাপের জন্য নয়টি ভেন্যু চূড়ান্ত করে ভেন্যু গুলোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রস্তুতি নিতে। তাঁদের বলা হয়েছে আগে থেকেই ভেন্যু গুলো ঠিক করে রাখার জন্য।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজকও ছিল ভারত। ঐ বিশ্বকাপে মোট পাঁচটি ভেন্যুতে খেলা হয়েছিলো। এবার ঐ পাঁচ ভেন্যুর সাথে যোগ হয়েছে আরো চার ভেন্যু। বিশ্বকাপের জন্য নির্ধারণ করা নয়টি ভেন্যু হলো – মুম্বাই, কলকাতা, লক্ষ্মৌ, চেন্নাই, আহমেদাবাদ, ব্যাঙ্গালুরু, ধর্মশালা ও হায়দ্রাবাদ। বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।

গত বছর অস্ট্রেলিয়াতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু করোনার কারণে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সপ্তম আসর স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছিল আইসিসি। এরপর আর মাঠে গড়ায়নি ঐ আসর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link