ওয়াসি সিদ্দিকি, নাম শুনেই চিনে ফেলার মতো পরিচয় এখনো হয়ে ওঠেনি তাঁর। এ যাবত কালে বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটে বলার মতো পরিচয়ের একটা খোরাক হয়েছে তাঁর, সেটা দলের গুরুত্বপূর্ণ লেগ স্পিনার। অবশ্য সাম্প্রতিক পরিস্থিতি অনুযায়ী এই অলরাউন্ডারকে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ‘সম্ভাবনা’ হিসেবে পরিচয় করালেও ভুল কিছু বলা হবে না।
লেগ স্পিনারের খরায় ছিল বাংলাদেশ। তাতে আশার বৃষ্টি হয়ে আভাস দিচ্ছেন এই তরুন। গত বছর অনুর্ধ্ব-১৯ দলের এশিয়া কাপে চিনিয়েছিলেন নিজের জাত। সেই আসরের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডার প্রায় একাই গুড়িয়ে দিয়েছিলেন এই যুবা। তাছাড়া সেবছরেই চট্টগ্রামে পাকিস্তানের অনুর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে শিকার করেছিলেন ৫ টি উইকেট।
অবশ্য ওয়াসির বলে তেমন একটা টার্ন লক্ষ্য করা যায় না। বেশির ভাগ বলই তিনি জোরের উপর করে থাকেন। তাঁর মূল শক্তির জায়গাটি হলো গতি। আশার বিষয় হলো তিনি ফ্ল্যাট পিচেও অসাধারণ বল করতে বেশ পারদর্শী। তাঁর দক্ষতার জায়গাটা গুগলি ডেলিভারিতেই।
২৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবে বাংলাদেশ হাই পারফর্ম্যান্স দল। সেখানে সীমিত ওভারের ফরম্যাটগুলোতে জায়গা হয়েছে এই তরুণের। নতুন কিছু করে দেখানোর অপেক্ষায় ওয়াসি সিদ্দিকি। উইকেটহীনভাবে মাঠ ত্যাগ না করাই তাঁর অন্যতম বৈশিষ্ট্য। মাঠে নামলেই কমবেশি উইকেট লুফে নেন নিজের ঝুলিতে।
যার প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর ঘরোয়া ক্রিকেটে পরিসংখ্যানেই। যেখানে অনেকটা তুরুপের তাসের ভূমিকাই পালন করতে লক্ষ্য করা যায় তাঁকে। ওয়াসির একেকটি ঘূর্ণীতে কাবু হয়ে যায় প্রতিপক্ষের ব্যাটাররা।
ওয়াসি সিদ্দিকির নামটা অতটা জনপ্রিয় না হলেও, ২২ গজে নিয়মিতভাবে ঠিকই রেখে যাচ্ছেন নিজস্ব পরিচয়। বারবার নিজেকে নিয়ে আসছেন নির্বাচকদের নজরে। সেই সাথে পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদুল হাসান জয়রাও আশার ফুল ফোটাচ্ছে বাংলার ক্রিকেট প্রেমীদের মনে।
অবশ্য আশার দূত জানান দেয়, সঠিক প্রজন্মের হাতেই উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষ্যত। তবুও দিনশেষে প্রশ্ন রয়ে যায়, ওয়াসিরা কি পারবেন সাকিব-তাইজুলদের যোগ্য উত্তরসূরী হতে? সেই প্রশ্নের উত্তরটা না হয় সময়ের কাছেই তোলা থাক।