নতুন কোচের খোঁজে বিজ্ঞাপ্তি দিয়েছিল বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই), এরপরই একের পর এক আবেদন জমা পড়েছে তাঁদের কাছে। আবেদনকারীদের মাঝে আছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, শচীন টেন্ডুলকাররাও। তবে ক্রিকেটার ভাবলে ভুল করবেন, এগুলো সবই আসলে ভুয়া। মূলত গুগল ফর্মের সাহায্যে আবেদন গ্রহণ করায় অনেকেই এমন ভুয়া নামে ভারতীয় কোচ হওয়ার জন্য আবেদন করেছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর মেয়াদ শেষ হবে ভারতের বর্তমান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের। তাই তো তাড়াহুড়ো করে প্রধান কোচ খুঁজতে হচ্ছে বিসিসআইকে, আর সেই লক্ষ্যে চলতি মাসেই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল তাঁরা। ইতোমধ্যে সেই বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে ৩০০০ এর বেশি আবেদন এসেছে।
কিন্তু মজার ব্যাপার, অধিকাংশ আবেদনই ভুয়া। কেবল ধোনি কিংবা শচীন নয়; হরভজন সিং সহ আরো অনেক সাবেক ক্রিকেটারের নাম ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে। এমনকি নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহরাও বাদ যাননি; তাঁদের নামেও এসেছে আবেদন। বিসিসিআইয়ের জন্য তাই আসল আবেদনপত্র খুঁজে বের করা কঠিন হয়ে যাবে।
যদিও এমন ঝামেলা দু’বছর আগেও পোহাতো হয়েছিল তাঁদের। সেবার ৫০০০টি আবেদনপত্র এসেছিল। এই ব্যাপারে বোর্ডের একজন কর্তা বলেন, ‘গতবারও এমন অনেক ভুয়া আবেদনপত্র এসেছে আমাদের কাছে। বিসিসিআই গুগল ফর্মে আবেদন করতে বলেছিল যাতে আবেদনকারীদের নাম একটা শিটে জমা হয়।’
অবশ্য আবেদনের শর্তে অনেকগুলো বিষয় রেখেছে ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। প্রথমেই বলা হয়েছিল, কমপক্ষে ৩০ টেস্ট ম্যাচ অথবা ৫০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা কোন টেস্ট খেলুড়ে দেশকে কমপক্ষে দুই বছর কোচিং করানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
তবে সহকারী দেশ, ফ্রাঞ্চাইজি লিগ বা জাতীয় ‘এ’ দলের কোচ হিসেবে নূন্যতম তিন বছর কাজ করলেও ভারতের হেড কোচ পদে আবেদন করা যাবে। যা হোক, এখন দেখার বিষয় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের সামলানোর দায়িত্ব কাকে দেয়া হয়?