কেকেআরের তাণ্ডবের শেষ নায়ক বৈভব অরোরা

সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ যখন ২৭৭ রানের রেকর্ড সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল তখন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সমানে সমানে লড়াই করেছিল। কিন্ত কলকাতা নাইট রাইডার্সের ছুঁড়ে দেয়া ২৭৩ রানের লক্ষ্যে অনেক আগেই হেরে বসেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। এর কারণ কলকাতার দলে ছিলেন একজন বৈভব অরোরা, দিল্লির লড়াইয়ের জ্বালানিটুকু এক নিমিষেই কেড়ে নিয়েছেন তিনি।

চার ওভার বল করে তিন উইকেট শিকার করেছেন এই ডানহাতি; ব্যাটিং স্বর্গ হয়ে ওঠা পিচে ওভার প্রতি দিয়েছেন মাত্র ৬.৮ রান। তাঁর এমন বোলিংয়ের ফলে হাত খোলার সুযোগ পায়নি স্বাগতিক ব্যাটাররা। জয় থেকে ১০৬ রান দূরেই থামতে হয়েছে তাঁদের।

দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই পৃথ্বীশ-কে প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছিলেন এই পেসার। আরেক ইনফর্ম ব্যাটার অভিষেক পোড়েলকে রানের খাতাই খুলতে দেননি তিনি। এছাড়া তাঁর সতীর্থ বরুণ চক্রবর্তীও নিয়েছেন সমান তিনটি উইকেট, তবে এই স্পিনার খরচ করেছেন ৩৩ রান।

সতীর্থ ব্যাটারদের ব্যর্থতার মাঝেও অবশ্য উজ্জ্বল ছিলেন ঋষাভ পান্ত। পাঁচ নম্বরে নেমে মাত্র ২৫ বলে ৫৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছেন তিনি। অন্যদিকে, প্রোটিয়া ব্যাটার ট্রিস্টান স্টাবসের ব্যাট থেকে এসেছে ৩২ বলে ৫৪ রান। এই দুইজন ছাড়া বাকিদের মধ্যে কেবল ডেভিড ওয়ার্নার ও পৃথ্বী দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছুতে পারেননি।

এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ের ফলে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে গিয়েছে দিল্লি; ফলতঃ আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম বড় পরাজয়ের তিক্ত স্বাদ পেয়েছে তাঁরা। অথচ ম্যাচের প্রথমভাগে রীতিমতো বাউন্ডারি বৃষ্টির জন্ম দিয়েছিলেন কলকাতার ব্যাটাররা। ওপেনার সুনীল নারাইন একাই মেরেছিলেন সাতটি চার ও সাতটি ছক্কা। তাঁর অনবদ্য ৮৫ রানের কল্যাণে বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে গিয়েছিল শ্রেয়াস আইয়ারের দল।

সেই ভিতের উপর দাঁড়িয়ে পরবর্তীতে তাণ্ডব চালিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল ও রিঙ্কু সিং। উইন্ডিজ অলরাউন্ডার ১৯ বল খেলে করেছেন ৪১ রান; অন্যদিকে, রিংকু স্রেফ আট বল খেলার সুযোগ পেয়েছেন, তাতেই বোর্ডে যোগ করেছেন ২৬ রান। এই তারকাদের সম্মিলিত অবদানে আইপিএলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড এখন নাইট রাইডার্সদের দখলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link