পাকিস্তানের অদ্ভুত প্রস্তাবে ভারতে ক্ষোভ

বিশ্বকাপের বাকি আর তিন মাসের কিছু সময়। কিন্তু এখনো বিশ্বকাপের কোনো চূড়ান্ত সূচি প্রকাশ করেনি আইসিসি। বিশ্বকাপ শুরু হবার দেড় থেকে দুই বছর আগে সূচি ঘোষণার রীতি থাকলেও এবার যেন সংকট কাটাতেই হিমশিম খাচ্ছে আয়োজক ভারত ও ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। সূচি নিয়ে সংকটের পেছনের অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম কারণ পাকিস্তানের গড়িমসি করা।

প্রথমত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করা নিয়েই এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি পাকিস্তান। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত আসার কথা থাকলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি বিশ্বকাপ খেলতে যাবার ব্যাপারে। তারওপর ক্রমাগত রাজনৈতিক পালাবলের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাকিস্তানের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ব্যাপারটাই তাই পেন্ডুলামের মত দুলছে।

বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত এক পাশে সরিয়ে রাখলেও সূচি নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি জানিয়েছে পাকিস্তান। আহমেদাবাদে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে নিরাপত্তা ইস্যুকে সামনে আনলেও, চেন্নাইতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে নিজেদের পক্ষে বাড়তি সুবিধা চাইছে পাকিস্তান।

আয়োজক ভারতের করা খসড়া সূচী অনুযায়ী, ২০ অক্টোবর ব্যাঙ্গালুরুতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার কথা পাকিস্তানের। এর তিন দিন পর চেন্নাইয়তে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবার কথা রয়েছে বাবর আজমের দলের। কিন্তু চেন্নাইয়ের উইকেট ঐতিহাসিক ভাবেই কিছুটা স্পিন সহায়ক হওয়াতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ভেন্যুতে খেলতে রাজি নয় পাকিস্তান।

আফগানিস্তানের বিশ্বমানের স্পিনাদের কথা চিন্তা করে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের ভেন্যুতে অদল বদল চায় ১৯৯২ এর বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। পাকিস্তানের এমন অদ্ভুত দাবীতে ইতোমধ্যেই শুরু বেশ বেশ আলোচনা সমালোচনা। ভারতের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনও বেশ ক্ষেপেছেন পাকিস্তানের এমন উদ্ভট প্রস্তাবে।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন বলেন, ‘এখনকার সুচি অনুযায়ী পাকিস্তান অস্ট্রেলিয়ার সাথে ব্যাঙ্গালুরুতে আর আফগানিস্তানের সাথে চেন্নাইতে খেলবে। তারা এখন ভেন্যুর অদল-বদল চায়। পাকিস্তান নিজেদের প্রস্তাবেই বলেছে চেন্নাইয়ে কন্ডিশন আফগানিস্তানকে সাহায্য করবে। সুতরাং, যদি ভেন্যু পরিবর্তন করা হয় তাহলে সেটা পাকিস্তানকে সাহায্য করবে। সুতরাং আমার সন্দেহ আছে আইসিসি এই প্রস্তাবে কিছুতেই রাজি হবে না। যদি পাকিস্তান কোনো যথার্থ নিরাপত্তার ইস্যু দেখাতো তাহলে হয়তো ভেন্যু পরিবর্তন করা যেত।’

পাকিস্তানের এমন প্রস্তাবের কোনো ভিত্তিই নেই বলে মনে করেন টেস্ট র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা এই বোলার, ‘শুধুমাত্র নিরাপত্তা ইস্যুর ক্ষেত্রে আইসিসি ভেন্যু পরিবর্তনের প্রস্তাব গ্রহণ করে থাকে। ২০১৬ বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ হবার কথা ছিলো ধর্মশালায় কিন্তু নিরাপত্তার কারণে সেটি পরে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়।’

বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা বেশ খানিকটা বিলম্ব করে ফেললেও খুব দ্রুতই চূড়ান্ত সূচীর ঘোষণা দেবে আইসিসি। বিভিন্ন সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিশ্বকাপের ঠিক ১০০ দিন আগে, আগামী ২৭ জুন বিশ্বকাপের সূচী প্রকাশ করতে যাচ্ছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link