এশিয়া কাপের ব্যর্থ একাদশ

এশিয়া কাপে ব্যাট কিংবা বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন অনেকে। তবে অনেকেই প্রত্যাশার দাবি মেটাতে পারেননি। আজকের আলোচনাটা তাদের নিয়েই যারা ব্যর্থতার বলয়ে পড়ে শেষ করেছেন এবারের আসর। চলুন দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপের ফ্লপ একাদশে কারা থাকছেন।

এশিয়া কাপে ব্যাট কিংবা বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন অনেকে। তবে অনেকেই প্রত্যাশার দাবি মেটাতে পারেননি। আজকের আলোচনাটা তাদের নিয়েই যারা ব্যর্থতার বলয়ে পড়ে শেষ করেছেন এবারের আসর। চলুন দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপের ফ্লপ একাদশে কারা থাকছেন।

  • সায়িম আইয়ুব (পাকিস্তান)

তালিকার সর্বপ্রথম নামটা সায়িম আইয়ুব। এই একাদশের ওপেনিং পজিশনের দায়িত্বটা তাঁর কাঁধে। আসরজুড়ে খেলেছেন সাত ম্যাচ, ব্যাট হাতে রান করেছেন মাত্র ৩৭। যার ব্যাটিং গড়টা ৫.২৮, স্ট্রাইক রেটটাও ১০০-এর নিচে। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার সাত ম্যাচের চারটাতেই খুলতে পারেননি রানের খাতা। তবে স্বস্তির জায়গাও অবশ্য আছে, সেটা বল হাতে নেওয়া তাঁর আট উইকেট।

  • পারভেজ হোসেন ইমন (বাংলাদেশ)

সায়িমের যোগ্য সঙ্গী হিসেবে ওপেনিং সামলাবেন পারভেজ হোসেন ইমন। চার ম্যাচ খেলে করেছেন মাত্র ৪০ রান। ব্যাটিং গড় ১০, স্ট্রাইক রেট ১০২। নিজের উইকেট বিলিয়ে শুরতেই দলকে বারবার বিপদে ফেলেছেন তিনি।

  • সুরিয়াকুমার যাদব (ভারত) 

তিন নম্বরে সুরিয়াকুমার যাদবকে দেখে চমকে যেতে পারেন অনেকে। আরও বেশি চমক এশিয়া কাপ জিতেও যখন তিনি ব্যর্থ একাদশের দলনেতা। সাত ম্যাচের ছয় ইনিংসে ব্যাট করেছেন। ১৮ গড়ের সাথে করেছেন মাত্র ৭২ রান। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় তাঁর ১০১ স্ট্রাইক রেট। মারমুখী ব্যাটার হিসেবে সুপরিচিত সুরিয়া আসরজুড়ে ছিলেন কেবল নিজের ছায়া।

  • সালমান আলী আঘা (পাকিস্তান)

চার নম্বর পজিশনের জন্য ফ্লপ একাদশের সবচেয়ে আদর্শ নামটা সালমান আলী আঘা। ব্যাট হাতে পাকিস্তান দলের বোঝা হয়ে থেকেছেন পুরোটা সময়। সুরিয়ার মতো তিনিও সাত ম্যাচ খেলে করেছেন ৭২ রান। ব্যাটিং গড় ১২ আর সবচেয়ে ভয়ানক তাঁর ৮১ স্ট্রাইক রেট। যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে রীতিমতো অপরাধের সামিল।

  • হাসান নাওয়াজ (পাকিস্তান)

পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে নামবেন হাসান নাওয়াজ। শুরুতে ছিলেন পাকিস্তানের আশার নাম। তবে আশাহত করেছেন তিন ম্যাচ খেলেই। রানের খাতায় যোগ করেছেন মাত্র ১৭ রান।

  • জাকের আলী অনিক (বাংলাদেশ)

ব্যাট হাতে বাংলাদেশ দলের গুরুদায়িত্ব সামলানোর কথা ছিল জাকের আলীর। তবে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। ছয় ম্যাচ খেলে করেছেন ৭১ রান। স্ট্রাইক রেটটা ১০৭। এই একাদশের উইকেটকিপারের ভূমিকায় থাকবেন তিনি।

  • করিম জানাত (আফগানিস্তান)

ফ্লপ একাদশে ফিনিশিং রোলের দায়িত্ব সামলাবেন করিম জানাত। ব্যাট হাতে তিন ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৯ রান। সামর্থ্যের প্রমাণ রাখতে পারেননি আসরজুড়ে।

 

  • মাহিশ থিকসানা (শ্রীলঙ্কা)

ফ্লপ একাদশের স্পিন ডিপার্টমেন্ট সামলানোর দায়িত্বে থাকবেন মাহিশ থিকসানা। আসরে তিন ম্যাচে খেলে উইকেট তুলেছেন মাত্র তিনটি। ইকোনমি রেট প্রায় সাতের কাছাকাছি।

  • আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার (আফগানিস্তান)

থিকসানার সঙ্গী হিসেবে থাকবেন আফগানিস্তানের উদীয়মান তারকা আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার। দুই ম্যাচে সুযোগ পেয়েও উইকেটের দেখা পাননি তিনি।

  • ফজল হক ফারুকী (আফগানিস্তান)

পেস ইউনিটে থাকবেন ফজল হক ফারুকী। আফগান পেসার এই আসরে নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি। তিন ম্যাচে শিকার করেছেন মাত্র দুই উইকেট। ইকোনমি রেটটা নয়ের উপরে।

  • জাসপ্রিত বুমরাহ (ভারত)

ফ্লপ একাদশের আরও এক চমক জাসপ্রিত বুমরাহ। ব্যর্থ একাদশের পেস ইউনিটের নেতা হিসেবেই থাকবেন তিনি। আসরজুড়ে বুমরাহ খেলেছেন ৫ ম্যাচ, নিজের ঝুলিতে পুরেছেন সাত উইকেট। ইকোনমি রেট ৭.৪৩ যা একেবারেই বুমরাহসুলভ নয়।

এশিয়া কাপের ফ্লপ একাদশ দাঁড়াচ্ছেঃ

সায়িম আইয়ুব, পারভেজ হোসেন ইমন, সুরিয়াকুমার যাদব (অধিনায়ক), সালমান আলী আঘা, হাসান নাওয়াজ, জাকের আলী অনিক, করিম জানাত, মাহিশ থিকসানা, আল্লাহ মোহাম্মদ গাজানফার, ফজল হক ফারুকী, জাসপ্রিত বুমরাহ।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link