‘অসারের তর্জন গর্জনই সার।’ ম্যাচের আগে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর হুমকি দিয়ে রেখেছিলেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। তবে ম্যাচে যেন উড়েই গেলেন অজিদের কাছে। ব্রিসবেনে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ৪২ রানে হারালো অস্ট্রেলিয়া।
টস জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া আয়ারল্যান্ড শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে তুলে নেয়। বেন ম্যাকার্থির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বাঁ-হাতি এই ওপেনার। এরপর অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ মিলে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে যান। দলীয় ৬০ রানে মিশেল মার্শ বেন ম্যাকার্থির দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হলে ৫২ রানের জুটিতে ভাঙ্গন ধরে।
তবে অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ এদিন স্বরুপে ফেরেন। ১৭তম ওভারে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফিরে যাওয়ার আগে ৪৪ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। শেষদিকে অলরাউন্ডার মার্কাস স্টোয়িনিসের ২৫ বলে ৩৫ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রানে থামে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। বেন ম্যাকার্থি তিন উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। একপ্রান্তে মিচেল স্টার্ক ও অপর প্রান্তে স্পিনার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বোলিং তাণ্ডবে ২৫ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে বসে আয়ারল্যান্ড। ম্যাক্সওয়লের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ওপেনার পল স্টার্লিং ও হ্যারি টেক্টর এবং মিশেল স্টার্কের চতুর্থ ওভারে কার্টিস ক্যাম্ফার ও জর্জ ডকরেলকে সাজঘরে ফেরালে বিপদে পড়ে আইরিশরা।
এসবের আগে দ্বিতীয় ওভারেই প্যাট কামিন্সের বলে বোল্ড হয়ে উইকেট পতনের সূচনা করেন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবার্নি। ২৫ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা আয়ারল্যান্ডের ইনিংসের হাল ধরেন উইকেট কিপার ব্যাটার লরক্যান ট্যাকার ও অলরাউন্ডার গ্যারেথ ডেলানি। এ দুজনের ৪৩ রানের জুটিতে শুরুর ধাক্কা সামাল দেয়।তবে ৬৮ রানে গ্যারেথ ডেলানি সাজঘরে ফিরে গেলে আবারও বিপর্যয়ে পড়ে আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন।
এক দিকে উইকেট কিপার ব্যাটার লরক্যান ট্যাকার অবিচল থাকলেও অপর প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ১৩৭ রানে অলআউট হয় আয়ারল্যান্ড। লরকান ট্যাকার ৪৮ বলে ৭৯ করে অপরাজিত থাকেন। এই জয়ে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে অস্ট্রেলিয়া। অপরদিকে তিন পয়েন্ট নিয়ে চার নাম্বারে আছে আয়ারল্যান্ড।