সাত ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে তখনো হাফসেঞ্চুরির গন্ডি পেরুতে পারেননি ম্যাথু শর্ট, সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৪১ রানের। তবু ট্রাভিস হেডের সঙ্গে যখন শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচে ওপেনিং করতে নেমেছেন তিনি, তখন চোখে মুখে ঠিকরে পড়েছিল আত্মবিশ্বাস। আর সেই আত্মবিশ্বাস বাউন্ডারির বৃষ্টি হয়ে ঝরেছে বাইশ গজে।
খুব বড় ইনিংস খেলেননি এই ব্যাটার, করেছেন ৫৮ রান। তবে যেই মেজাজে রান তুলেছেন সেটাকে খুনে মেজাজ বললেও কম বলা হয়। মাত্র ত্রিশ বল মোকাবিলা করেছেন, এর মধ্যে সাতটি চারের সঙ্গে চারটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। ওয়ানডেতে প্রায় দুইশ স্ট্রাইক রেটে ব্যার করা চাট্টিখানি কথা নয়।
এই ডানহাতির তান্ডবেই প্রত্যাশিত সূচনা পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, ৩১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যেমন ব্যাটিং করতে হতো সেভাবেই করেছেন তিনি। তাঁর কল্যাণেই পাওয়ার প্লেতেই ১০৩ রান অজিদের স্কোরবোর্ডে জমা হয়।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে এটাই যথেষ্ট হয়েছে ক্যাঙারুদের জয়ের জন্য, ওপেনিং জুটির বিদায়ের পর আর কোন উইকেটের পতন ঘটতে দেননি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ এবং জস ইংলিশ। তাই তো ২০.৪ ওভারে যখন ম্যাচ থামাতে বাধ্য হন তখন ডিএলএসের হিসেব অনুযায়ী ৪৯ রানে এগিয়েছিল তাঁরা।
শেষমেশ আর খেলা মাঠে না গড়ানোতে জয়ী ঘোষণা করা হয় বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। এর মধ্য দিয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ নিজেদের করে নিলো তাঁরা, সেই সাথে সমাপ্তি ঘটলো দুই প্রতিদ্বন্দীর মধ্যকার রোমাঞ্চকর একটা দ্বৈরথের।
সিরিজ হারলেও ইংল্যান্ডের তারুণ্য নির্ভর দলটা চেষ্টার কমতি রাখেনি। নিয়মিত অধিনায়ক জশ বাটলারের জায়গায় দায়িত্ব পেয়ে হ্যারি ব্রুক নিজের সেরাটা দিয়েই লড়েছেন, ধারাবাহিক রান করে গিয়েছেন বেন ডাকেট। তাই তো সিরিজ হারলেও প্রাপ্তি আছেন অনেক। বিশেষ করে ২-০ তে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তাঁরা, সেটা দীর্ঘদিন অনুপ্রেরণা দিবে ইংলিশদের।