অক্ষর নাকি কুলদীপ, কানপুরে একাদশে ফিরছেন কে?

এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দন অশ্বিন দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় বাড়তি একজন অলরাউন্ডারের প্রয়োজন পড়ছে না। আবার অক্ষরের বোলিং স্টাইল অনেকটাই জাদেজার মতন, বৈচিত্র্যের জন্য তাই কুলদীপের ব্যতিক্রম নেই।

দশ ম্যাচে প্রয়োজন ছিল পাঁচ জয়ের, চেন্নাই টেস্টে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে সেই সমীকরণ আরও সহজ করে তুলেছে ভারত। এখন নয় ম্যাচের চারটিতে জিতলেই টানা তৃতীয় বারের মত টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলবে দলটি – তবে কানপুর টেস্টে টাইগারদের হারাতে পারলে ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে, আর এই লক্ষ্যে আগামী শুক্রবার মাঠে নামছে তাঁরা।

চেন্নাই আর কানপুরের উইকেটে রয়েছে ভিন্নতা, চেন্নাইয়ে লাল মাটির স্পোর্টিং উইকেটে খেলা হয়েছিল, অন্যদিকে কানপুরে কালো মাটির স্পিন বান্ধব উইকেট হবে। সেজন্যই ভারতের একাদশে ট্যাকনিক্যাল এবং ওয়ার্কলোড বিবেচনায় একাধিক পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। আগের ম্যাচে তিনজন পেসার খেলালেও এবার বাড়তে পারে স্পিনারের সংখ্যা।

এক্ষেত্রে জাসপ্রিত বুমরাহকে বিশ্রাম দেয়া হবে কি না সেটা প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। লম্বা বিরতি কাটিয়ে গত ম্যাচ দিয়েই টেস্ট দলে ফিরেছেন তিনি। কিন্তু সামনেই আবার নিউজিল্যান্ড সিরিজ, এরপর বর্ডার গাভাস্কর ট্রফি। তাই পুরোপুরি সতেজ রাখার জন্য তাঁকে কানপুর টেস্টে না খেলাতে পারে টিম ম্যানেজম্যান্ট।

কিন্তু পাল্টা যুক্তিও আছে, দুই ইনিংস মিলিয়ে মাত্র ২১ ওভার বল করেছেন এই পেসার। অর্থাৎ খুব বেশি চাপ নিতে হয়নি। তাই তাঁকে ম্যাচ খেলিয়ে কিউই সিরিজের জন্য প্রস্তুত করা হবে নাকি আবারও বিশ্রাম দেয়া হবে সেটা ম্যানেজম্যান্টের ভাবনার বিষয়।

তবে কোন পেসারকে বাদ দেয়া হবে এর চেয়ে বেশি আলোচনা এখন কাকে খেলানো হবে তা নিয়ে – বাঁ-হাতি অর্থোডক্স অক্ষর প্যাটেল নাকি চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব। এক্ষেত্রে যদিও এগিয়ে আছেন কুলদীপ, ইংল্যান্ড সিরিজে চার ম্যাচে উনিশ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ফর্ম বিবেচনায় তাই তাঁকে সুযোগ দিতে পারে টিম ইন্ডিয়া।

এছাড়া রবীন্দ্র জাদেজা এবং রবিচন্দন অশ্বিন দুর্দান্ত ফর্মে থাকায় বাড়তি একজন অলরাউন্ডারের প্রয়োজন পড়ছে না। আবার অক্ষরের বোলিং স্টাইল অনেকটাই জাদেজার মতন, বৈচিত্র্যের জন্য তাই কুলদীপের ব্যতিক্রম নেই।

Share via
Copy link