সে ক্রিকেট খেলার মত ফিট তো? আজম খান যখন বাইশ গজে আসেন তখন নিশ্চয়ই এমন একটা প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খায় আপনাদের। স্বাভাবিক দৃষ্টিতে তার ফিটনেসের ঘাটতি রয়েছে বলেই মনে হবে। তবে আপনার মনে জাগ্রত হওয়া সেই শঙ্কার সত্যতাই প্রমাণ এবার করেছেন আজম খান নিজেই।
পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অনুশীলন ক্যাম্প চলছে অ্যাবোটাবাদের কাকুল ক্রিকেট একাডেমিতে। সে ক্যাম্পে খেলোয়ারদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ফিটনেসের উপর দেওয়া হচ্ছে বাড়তি নজর।
সে ধারাবাহিকতায় দুই কিলোমিটার দৌড়ে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণের পরীক্ষা নেওয়া হয় পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের। আজম খান সে পরীক্ষায় পাস করা তো দূরে থাক, তিনি ফিনিশিং লাইন অবধি যেতে পারেননি। থেমেছেন মাঝপথেই।
দুই কিলোমিটার পথের মাত্র ১.৫ কিলোমিটার দৌড়েই হাপিয়ে ওঠেন আজম খান। পাক্কা ২০ মিনিট সময় লাগে তার দেড় কিলোমিটার পথ অতিক্রান্ত করতে। এরপর আর তিনি পারেননি দৌড়াতে। অগ্যতা তাকে থামতে হয়েছে সীমানার বহু আগেই। তবে দলের বাকি খেলোয়াড়রা নির্ধারিত সেই দৌড় সমাপ্ত করতে সক্ষম হন। আজম খানের পর সবচেয়ে বেশি সময় লাগে মোহাম্মদ নওয়াজের।
নওয়াজ দুই কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে সময় নেন ৯ মিনিট ৫৭ সেকেন্ড। তবে সবচেয়ে কম সময়ে নির্দিষ্ট সেই দূরত্ব পারি দেন ইরফানউল্লাহ খান নিয়াজি। মাত্র ৬ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের মাথায় তিনি পৌঁছে যান ফিনিশিং লাইনে।
দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তিনি সময় নেন ৮ মিনিট ২৬ সেকেন্ড। ৮ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের মধ্যে দৌড় সম্পন্ন করেন, মোহাম্মদ হারিস, নাসিম শাহ, হাসিবুল্লাহ এবং মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র। পাকিস্তানের পেস সেনসেশন শাহীন শাহ আফ্রিদির সময় লাগে ৮ মিনিট ৩৭ সেকেন্ড।
এই ক্যাম্পে যুক্ত হয়েছেন মোহাম্মদ আমির। সদ্যই তিনি নিজের অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাকেও দেখা যেতে পারে পাকিস্তানের জার্সিতে। তাইতো তিনিও অংশ হয়েছেন কাকুল ক্যাম্পের। মোহাম্মদ আমির দুই কিলোমিটার পথ দৌড়ে পার করতে সময় নেন ৯ মিনিটি ৩০ সেকেন্ড।
এই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন না আবারও অধিনায়কত্বের আলোচনায় আসা বাবর আজম। পবিত্র ওমরাহ পালন করতে তিনি অবস্থান করছেন সৌদি আরবে। সেখান থেকে ফিরেই তিনিও অংশ নেবেন পাকিস্তানের অনুশীলন ক্যাম্পে।
তাছাড়া অবসর থেকে ফিরে আসা আরেক ক্রিকেট ইমাদ ওয়াসিমও অংশ নেননি ২ কিলোমিটার দৌড়ে। সম্ভাব্য হাঁটুর ইনজুরির কথা মাথায় রেখেই তিনি নিজেকে বিরত রাখেন। ইনজুরি থেকে ফেরার পুনর্বাসন করা ফখর জামান ও হারিস রউফকেও বিরত রাখা হয়।