অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাফল্যের মুখ দেখলেন আজম খান, একের পর এক ব্যর্থতা শেষে কিছুটা হলেও স্বস্তির হাসি হাসতে পেরেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন; যেই প্রতিভা আর সম্ভাবনা নিয়ে পাকিস্তানের সবুজ জার্সি গায়ে জড়িয়েছিলেন সেটির প্রমাণ কিছুটা হলেও দিতে দেখা গেলো তাঁকে।
আইরিশদের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে হতো পাকিস্তানকে। কঠিন কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন ফখর জামান ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু শেষদিকে বাইশ গজে এসে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন দীর্ঘদেহী এই হার্ডহিটার – স্রেফ ১০ বলে ৩০ রান করেছেন তিনি।
অথচ নিজের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এর আগে আরো নয় ম্যাচ খেললেও কখনো এক ইনিংসে এত রান করতে পারেননি। এমনকি সবমিলিয়ে তাঁর মোট সংগ্রহ ছিল ৩৪ বলে ২৯ রান! সেসময় স্রেফ ৮৫ স্ট্রাইক রেট আর ৪.১৪ গড়ে ব্যাট করেছিলেন তিনি।
কিন্তু আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এদিন অপরাজিত এক ক্যামিও খেলেছেন এই ডানহাতি। ৩০০ স্ট্রাইক রেটে ইনিংসটি খেলার পথে চারটি ছক্কা ও একটি চার হাঁকিয়েছেন তিনি। আর ইনিংসটির কল্যাণে তাঁর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে ব্যাটিং গড় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে আর স্ট্রাইক রেট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪-এ।
পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সৌজন্যে আজম খান উঠে এসেছিলেন লাইমলাইটে। লোয়ার মিডল অর্ডারে ঝড় তোলার সামর্থ্য দেখিয়ে নজর কেড়েছিলেন নির্বাচকদেরও। শুধু পিএসএল নয়, ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লিগেও (সিপিএল) ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পেতেই তাঁর বিধ্বংসী রূপ হারিয়ে গিয়েছিল, ব্যর্থতার বোঝা চেপে ধরেছিল তাঁকে।
তবে আশার কথা, সব চাপ পাশে সরিয়ে পারফরম করতে শিখছেন এই উদীয়মান তারকা। প্রতিপক্ষ যেই হোক দুর্দান্ত একটা ক্যামিও খেলার পর নি:সন্দেহে হারানো আত্মবিশ্বাস অনেকটা ফিরে পাবেন তিনি। এখন সেই আত্মবিশ্বাস কাজে লাগিয়ে দারুণ কিছু করে দেখানোর পালা, ভরসার প্রতিদান দেয়ার পালা।