ওয়ানডেতে সর্বশেষ ২০২১ সালে ডাক মেরেছিলেন বাবর আজম। কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ ম্যাচের পর আরো ১৯ টা ইনিংস খেলেছেন পাকিস্তানি এ ব্যাটার। কিন্তু আর কখনো শূন্যের চক্করে পড়তে হয়নি তাঁকে। অবশেষে দুই বছর পর, আবারো ব্যাট হাতে শূন্য রানে ফিরলেন বাবর আজম।
শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ বলে ০ রানে ফিরেছেন এ ব্যাটার। এ নিয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয়বার শূন্য রানে ফিরলেন বাবর আজম। আর এখানেই তিনি ছুঁয়েছেন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইমরান খানকে।
বাবর আজমের মতো তিনিও পাকিস্তানের অধিনায়ক থাকাকালে ক্যারিয়ারে দুই বার ডাক মেরেছিলেন। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে সর্বোচ্চ ৮ আর ডাক মারার রেকর্ডটা ওয়াসিম আকরামের। এরপর ইনজামাম উল হক ও মঈন খান ৪ বার, মিসবাহ উল হক ৩ বার এবং ইমরান খান, জাভেদ মিয়াদাদ, আজহার আলী ও ইউনিস খান ২ বার করে শূন্য রানে আউট হয়েছেন।
সব ধরনের ফরম্যাট মিলিয়ে বাবর আজমের অবশ্য এটি ১৬ তম ডাক ছিল এটি। আর অধিনায়ক হিসেবে ৮ম। যেখানে পাকিস্তানের ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর চেয়ে বেশি শূন্যে জড়িয়েছেন শুধু দুজন; ইনজামাম উল হক ও মিসবাহ উল হক।
অবশ্য দুই বছর বাদে শূন্য রানে ফিরলেও আফগানদের বিপক্ষে ঠিকই বড় জয় তুলে নিয়েছে বাবর আজমের দল। টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগান শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান। রশিদ,মুজিব,নবীর স্পিনবিষে নীল হয়ে মাত্র ২০১ রানেই অলআউট হয় তাঁরা।
অবশ্য ঐ লক্ষ্যটাই আফগানদের সামনে পাহাড়সম বানিয়ে ফেলে পাকিস্তানের পেসাররা। ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে শাহিন, নাসিম, রউফদের পেসের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি আফগানিস্তান। গুটিয়ে যায় মাত্র ৫৯ রানে। ফলত, জয়ের কাছে যাওয়া তো দূরে থাক, ওয়ানডেতে নিজেদের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরের লজ্জাতে পড়ে যায় আফগানরা।
আফগানিস্তানকে এমন অল্পেই অলআউট করার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান হারিস রউফের। ১৮ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এ পেসার। আর ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের কারণে তাঁর হাতেই উঠেছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।