বাবর, রংপুরের রাজা

রংপুর রাইডার্সের ব্যাটিং অর্ডার বড্ড ছন্নছাড়া। ব্রেন্ডন কিং ফর্মে নেই, সাকিব আল হাসান তো বোলার বনে গেছেন – বড় দুই নামের অনুপস্থিতিতে কাউকে দায়িত্ব নিতে হতো, ধারাবাহিক রান করতে হতো। সেই কাজটাই করছেন বাবর আজম, প্রায় প্রতি ম্যাচেই রংপুরের হাল ধরছেন তিনি।

সর্বশেষ সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩৭ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছেন বাবর। কোন ছয় না মারলেও হাঁকিয়েছেন সাতটি চার। তাঁর এই ইনিংসে ভর করেই এগিয়েছে রংপুরের স্কোরবোর্ড।

অন্য দিন রয়ে সয়ে শুরু করলেও এদিন এই ডানহাতি প্রথম থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। তৃতীয় ওভারে নাইম হাসানকে চার মেরে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগ্রাসনের, পরের ওভারে রিচার্ড এনগারাভাকে হাঁকিয়েছেন পর পর তিনটি চার। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারেও বাউন্ডারির খোঁজে ছিলেন তিনি।

সব মিলিয়ে ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের সুবিধা কাজে লাগিয়ে মাত্র ২০ বলে ৩৬ রান করেছিলেন এই পাক ক্রিকেটার। এর ফলে দারুণ সূচনা পেয়েছিল টিম রাইডার্স।

মাঝের ওভারে হ্যারি টেক্টর টানা দুই বলে ফজলে মাহমুদ আর সাকিব আল হাসানকে আউট করে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন নুরুল হাসান সোহানের দলকে। তা না হলে হয়তো টি-টোয়েন্টি মেজাজে ব্যাটিং চালিয়ে যেতেন বাবর, কিন্তু উইকেটের পতন বদলে দেয় দৃশ্যপট।

শেষ পর্যন্ত ডট বলের চাপে ডাউন দ্য উইকেট খেলতে গিয়ে উইকেট দিয়ে আসেন এই ওপেনার। হাফসেঞ্চুরি থেকে তিন রান দূরে থাকতে থামেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য দলের রান প্রায় একশো ছুঁই ছুঁই, অর্থাৎ রংপুরকে চ্যালেঞ্জিং স্কোর সংগ্রহের পথ বাতলে দিয়েছেন এই পাকিস্তানি।

বিপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে ২০৪ রান করেছেন বাবর আজম, ব্যাটিং গড় পঞ্চাশের বেশি; ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছেন একাধিকবার। তাই তো তাঁকে রান মেশিন বললে বাড়াবাড়ি হবে না একটুও; যদিও স্ট্রাইক রেট ইস্যুতে পিছিয়ে আছেন তিনি। এই সমস্যা সমাধান করতে পারলে আরও অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেন এই তারকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link