শতকের নেশায় বুঁদ বাদশাহ বাবর

অসাধারণ, অনবদ্য একটা ইনিংস খেললেন বাবর আজম। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এরপরও সেটাকে অবিশ্বাস্য বলা অবশ্য বাড়াবাড়ি হবে, কেননা এই পারফরম্যান্স প্রত্যাশিতই বটে। এর আগে কতবারই তো এমন ইনিংস খেললেন, এটি তাঁর টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের এগারোতম শতক বলে কথা।

এদিন ৬৩ বলে ১১১ রান করেছেন এই ডানহাতি, ১৪টি চার এবং দুইটি ছক্কার মার ছিল তাঁর ইনিংসে। বড় রান করেই তুষ্ট হননি তিনি, শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে ২০১ রানের পাহাড়সম পুঁজি এনে দিয়েছেন।

ওপেনিংয়ে নেমে বরাবরের মতই দেখেশুনে খেলেছেন এই ব্যাটার। অন্য প্রান্তে সায়িম আইয়ুব ঝড় তুললেও তিনি খেলেছেন একেবারে পরিস্থিতি বুঝে। নিয়মিত স্ট্রাইক রোটেট করেছেন, বাঝে বলে বাউন্ডারি আদায় করেছেন। তবে আইয়ুব আউট হতেই ধ্বস নামে পেশওয়ারের ব্যাটিং লাইনআপে, ফলে বাড়তি চাপে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। সেজন্যই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করতে তাঁর ৩৯ বল লেগে গিয়েছিল।

কিন্তু তারপরই বদলে যায় এই তারকার রূপ, মুহূর্তের মাঝে বোলারদের ত্রাস হয়ে উঠেন তিনি। প্রতি ওভারেই দশের বেশি রান তুলতে শুরু করেন; মাঝে হুনাইন শাহর এক ওভার থেকেই ২৩ রান নেন। তাতেই সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান এই ওপেনার, খানিক পরেই আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ৫৯ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়ে ফেলেন তিনি।

নির্ধারিত বিশ ওভার শেষে পেশওয়ার দলপতি অপরাজিত থাকেন ১১১ রানে, অর্থাৎ শেষ ব্যক্তিগত ফিফটি করার পর ২৪ বলে ৬১ রান করেছেন তিনি। পিএসএলে দারুণ সময় কাটছে এই ক্রিকেটারের, এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন – সবচেয়ে বড় ব্যাপার, দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে সবসময়ই চওড়া হয়েছে তাঁর ব্যাট।

কয়েকদিন আগেই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০০০ রান পূর্ণ করেছিলেন এই তারকা। বিরাট কোহলি, ডেভিড ওয়ার্নারদের পিছনে ফেলে দশ হাজারি ক্লাবের দ্রুততম সদস্য হওয়ার কীর্তি নিজের করে নিয়েছিলেন তিনি। এবার সেঞ্চুরির হিসেবেও দুই বিশ্বসেরার সঙ্গে ব্যবধান বাড়িয়ে নিলেন; দু’জনের সেঞ্চুরি সংখ্যা সমান আটটি।

সবচেয়ে বেশি তিন অঙ্কের ইনিংস উদযাপন করেছেন ক্রিস গেইল, উইন্ডিজ কিংবদন্তির সঙ্গে এখন তাঁর দূরত্ব স্রেফ এগারোটি শতক – কি জানি, এভাবে ছুটতে থাকলে একদিন হয়তো এই রেকর্ডও নিজের ঝুলিতে পুরবেন ‘বাবর দ্য গ্রেট’।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link