মোমেন্টাম বিলিয়ে দেওয়া বাবরের অভিজ্ঞতা

ক্রমশ যেই মোমেন্টাম নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসার লড়াই করছিলেন বাবর, সেই মোমেন্টামকে প্রোটিয়াদের কাছে নিজ হাতে সপে দিয়ে এসেছেন তিনি।

কেপ টাউনে ঢের পিছিয়ে পাকিস্তান। সবে একটা জুটি গড়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দিতে শুরু করেছিলেন বাবর আজম। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু হুট করেই বাবরের এক অপ্রয়োজনীয় শট। ডাউন দ্য লেগ সাইডে বল বেড়িয়ে যাচ্ছিল। কিউনা মাফাকা হয়ত চিন্তাও করেননি, ওমন একটা বলে উইকেট পেয়ে যাবেন তিনি।

কিন্তু বিস্ময়ের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে কল্পনাতীত এক ঘটনাকেও বাস্তবে ভাসিয়ে রূপান্তরিত করলেন বাবর আজম। লেগ সাইড দিয়ে এগিয়ে যাওয়া বলটায় অহেতুক খোঁচা দিলেন তিনি। উইকেট রক্ষকের দস্তানায়। কেন তিনি সেই শট খেললেন, সেই উত্তর সম্ভবত খোদ বাবরেরও অজানা।

কেপ টাউন টেস্টে প্রথম ইনিংসে রান পাহাড় গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু পাকিস্তান ধুঁকছিল দ্রুত বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে। সেখান থেকে দলকে লড়াই করবার মত অবস্থানে নিয়ে আসার অন্যতম কাণ্ডারি ছিলেন বাবর আজম।

ফিফটি করে সেই পথেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। মোমেন্টামও চলে এসেছিল পাকিস্তানের পক্ষে। ২০ রানে পাকিস্তান হারিয়েছিল তিন উইকেট। সম্ভাবনা জেগেছিল দ্রুতই গুটিয়ে যাওয়ার। সেই সম্ভাবনা কমানোর প্রচেষ্টাতেই ছিলেন বাবর ও রিজওয়ান। ৯৮ রানের জুটি গড়ে দলের সেই প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ দুই ক্রিকেটার।

কিন্তু ওমন অযাচিত এক শট প্রশ্ন তুলতে বাধ্য করে বটে। আদতে অভিজ্ঞতার কাজটা কি? অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ম্যাচের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে, সেটাই তো প্রত্যাশিত। তাছাড়া বাবর আজম মানের একজন ব্যাটারের মনোযোগের ঘাটতি মেনে নেওয়াও তো যায় না।

ক্রমশ যেই মোমেন্টাম নিজেদের পক্ষে নিয়ে আসার লড়াই করছিলেন বাবর, সেই মোমেন্টামকে প্রোটিয়াদের কাছে নিজ হাতে সপে দিয়ে এসেছেন তিনি। ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভবনা এমন সব ক্ষুদ্র ঘটনাই কমিয়ে দেয়। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও ঘটতে পারে তাই।

Share via
Copy link