ব্যাটিং অর্ডারে বাবর-রিজওয়ানের শূন্যতা!

বাংলাদেশের বিপক্ষে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। আরও একবার দল অনুভব করলো বাবর-রিজওয়ানের শূন্যতা। এখনও টি-টোয়েন্টিতে তাদের বাদ দেওয়ার সময় আসেনি সেটাই যেন প্রমাণ হল মিরপুরে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো পাকিস্তানের ব্যাটিং অর্ডার। আরও একবার দল অনুভব করলো বাবর-রিজওয়ানের শূন্যতা। এখনও টি-টোয়েন্টিতে তাদের বাদ দেওয়ার সময় আসেনি সেটাই যেন প্রমাণ হল মিরপুরে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, ব্যাটিং ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে অভিজ্ঞ ফখর জামানের সঙ্গী তরুণ তুর্কি সাইম আইয়ুব। মিরপুরের কঠিন কন্ডিশনে রান বের করতে হলে বিচক্ষণ ব্যাটিং করতে হতো। তবে শুরু থেকে সেটাই করতে ব্যর্থ হলো তারা।

৩২ থেকে ৪৬ মাত্র ১৪ রান করতেই হারালো চারটি উইকেট। হাল ধরতে পারলো না কেউ, সিঙ্গেল ডিজিটটাও পার করতে পারলেন না আউট হওয়া চার ব্যাটার। পুরোদস্তুর ফেল করলো ব্যাটিং অর্ডার।

 

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আধুনিক হয়েছে ঠিকই, পাওয়ার হিটিংয়ে মনোযোগ বেড়েছে সবার। তবে সব বলে তো আর শট খেলা যায় না, কখনো কখনো কন্ডিশন অনুযায়ী অ্যাংকরিং করার পথেও হাঁটতে হয় ব্যাটারদের। পাকিস্তান বোধহয় এই জায়গাতেই করেছে গড়মিল।

টি-টোয়েন্টিতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে পাকিস্তান। যে দলের পুরোটাই তারুণ্য নির্ভর, আর লক্ষ্যটা আক্রমণাত্মক মানসিকতার দল তৈরি করা। আর এই পরিকল্পনার বলি হতে হয়েছে দলটির সেরা দুই ব্যাটার বাবর এবং রিজওয়ানকে।

তাদের স্ট্রাইক রেট ভালো না, টি-টোয়েন্টির প্রেক্ষাপটে মানানসই নয়, আধুনিক সময়ে তারা একেবারেই চলে না। এমন সব কথা বারবার সামনে এসেছে। তবে দিনশেষে যে পাকিস্তান দলের ব্যাটিং অর্ডার মুখ থুবড়ে পড়ছে।

যে দলে যত বেশি ভারসাম্য সেই দলই এগিয়ে থাকে। মারকুটে ব্যাটারদের সাথে ইনিংস গড়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যাটারের দরকার পড়ে। আর এই কাজটায় তো করতেন বাবর-রিজওয়ানরা। তাই তো দিনশেষে একটা কথাই বলার থাকে, পাকিস্তান দল সোনার খনি খুঁজতে গিয়ে বোধহয় হীরার খনি হারিয়েছে।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link