দু’জনেই কেউ যেন কারও চেয়ে কম নয়। সুরিয়াকুমার যাদবকে বলা হয়, টি-টোয়েন্টি যুগের অন্যতম সেরা ব্যাটার। আর বাবর আজম মানেই তো বাদশাহী ব্যাটিং।
টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়েও আছে এই দুই ‘বিশ্বসেরা’র দ্বৈরথ। ৮৬১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ে সবার ওপরে আছেন সুরিয়াকুমার। অন্যদিকে, সদ্য শেষ হওয়া নিউজিল্যান্ডের সাথে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও ১২৫ রান করে পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার বাবর আজম। যার ফলে টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের আইসিসি র্যাংকিংয়ে ৭৬৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে এক ধাপ উপরে চার নম্বরে চলে এসেছেন তিনি।
২০১৯ সালে ৮৯৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে র্যাংকিংয়ে সবার উপরে ছিলেন বাবর আজম। এরপর ভাল-মন্দের মিশেলে ভালই কাটছিল টি-টোয়েন্টির বুকে বাবর আজমের সময়। আবার কাছাকাছি সময় উত্থান হয় সুরিয়ার।
দুর্দান্ত ফর্মে থাকা সুর্যকুমার যাদবের কাছে ২০২২ এ প্রথম স্থান হারান হারান বাবর। ২০২২-২৩ মৌসুমে ৪৯.৯২ গড় ও ১৭৩.৮৮ স্ট্রাইক রেটের সাথে ৪৮ ইনিংসে ১৮৯৬ রান করেন সুরিয়া। যার ফলে ২০২২ ও ২০২৩ এর বর্ষ সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারও ছিলেন ‘স্কাই’।
অন্যদিকে ২০২২-২৩ মৌসুমে ৩৩.২৭ গড় ও ১২৬.২৮ স্ট্রাইক রেটে বাবর করেন ৮৬৫ রান। ফলে র্যাংকিংয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েন তিনি। অন্যদিকে দূর্দান্ত ফর্মে থাকা সুরিয়া চলে যান প্রথম পজিশনে। এখানে বড় একটা ভুমিকা রাখে স্ট্রাইক রেটে দু’জনের পার্থক্য।
তবে, ২০২৪ দারুণভাবে শুরু করলেন বাবর। যদিও সুরিয়ার থেকে ৯৮ পয়েন্ট ব্যবধান নিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কাপে প্রবেশ করবেন তিনি। নিশ্চয়ই, চাইবেন তাঁর পুরাতন মুকুট পুনরুদ্ধার করে পাকিস্তানের শিরোপা জয়ে মূল ভূমিকা রাখতে।
অন্যদিকে সুরিয়াও নিশ্চয়ই বসে থাকবেন না। তিনি চাইবেন তাঁর দূর্দান্ত ফর্ম বজায় রেখে ভারতের শিরোপা জয়ে সাহায্য করতে। ফলে, পাকিস্তান-ভারত প্রতিদ্বন্দ্বীতার সাথে সাথে জমে উঠবে তাদের ব্যাক্তিগত দ্বৈরথও।