ভারত-পাকিস্তান মানেই যেন উত্তেজনা। কেননা লড়াইটা যে শুধু জয়-পরাজয়ে সীমাবদ্ধ নয়। বরং তাঁদের প্রতি ম্যাচেই জড়িয়ে থাকে সম্মানের আবছায়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে গ্রুপ পর্বেই মুখোমুখী হতে যাচ্ছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল পাকিস্তান ও ভারতের। সম্প্রতি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের একটি আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। যেখানে তিনি বিশ্বকাপের এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে নিয়ে কথা বলেন।
বাবর বলেন, ‘যেদিন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে পুরো বিশ্ব তার দিকে তাকিয়ে থাকবে। স্বভাবতই সেখানে স্নায়ুচাপ থাকবে, তবে আমাদের ম্যাচে ফোকাস রাখতে হবে, নিজেদের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যেতে হবে এবং সহজভাবে ক্রিকেট খেলতে হবে। এটি সব সময়ই একটি চাপের খেলা; আপনি যত বেশি শান্ত থাকবেন, আপনার দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রমে বিশ্বাস করবেন, তত বেশি জিনিসগুলি সহজ হবে।’
আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের প্রস্তুতি এবং আকাঙ্ক্ষার কথা নিয়েও আলোচনা হয় সেখানে। সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যাবধানে সিরিজ হারলেও বিশ্বকাপ ট্রফি জিততে তার আন্তরিক ইচ্ছা প্রকাশ করে আশাবাদ ব্যাক্ত করেছিলেন। বিশ্বকাপ জিততে প্রতিটি ম্যাচে ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা অপরিহার্য বলে তিনি মনে করেন।
বিশ্বকাপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি খুশি এবং উত্তেজিত কারণ, আপনি যখন বিশ্বকাপের মত বড় মঞ্চে খেলতে যান, তখন আপনার আলাদা উত্তেজনা থাকে। বিশ্বকাপে খেলা যে কোনো ক্রিকেটারের লক্ষ্য, তাই এই ধরনের অনুভূতি আমার মধ্যেও আছে। শিরোপা জিততে হলে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।’
প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে খেলতে যাওয়া প্রসঙ্গে বাবর বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে কারণ আমরা সেখানে জাতীয় দল হিসেবে প্রথমবারের মত যাচ্ছি। আমরা সেখানে খেলা খেলোয়াড়দের কাছে থেকে বিভিন্ন ক্রিকেট এবং ম্যাচ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করছি যেন, তা আমাদের প্রস্তুতিতে কাজে লাগে।’
২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্মৃতিচারণ করে বাবর বলেন, ‘আমি মনে করি সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে (২০২১) আমরা হেরেছিলাম ; এটা আমরা জিততে পারতাম। সেই ম্যাচে ফিল্ডিং আলাদা প্রভাব ফেলেছিল। আমরা যদি শেষ পর্যায়ে দুই বা তিনটি ডট বল দিতে পারতাম তবে চাপ তাদের উপর আসত। কিন্তু আমরা দল হিসেবে হেরেছি, একজন ব্যাক্তির জন্য নয়।’
অপ্রত্যাশিত হারের বিষয়ে তিনি আর যোগ করে বলেন, ‘২০২২ সালে আমরা ভারতের বিপক্ষে জিততে পারতাম এবং জেতা উচিত ছিল, কিন্তু তাঁরা তা কেড়ে নিয়েছে। সবচেয়ে বেদনাদায়ক ছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হার। এটা আরও বেশি কষ্ট দেয় কারণ ভারতের বিপক্ষে আমরা ভাল খেলেছি এবং লোকেরা আমাদের প্রশংসা করেছে।’