আল আমিন হোসেনের বলটা স্কোয়ার ড্রাইভে পয়েন্টে ঠেলে দিলে একটা রান। ধারাভাষ্যকক্ষ থেকে শোনা গেল, তামিম ইকবালের জয়ধ্বনি। লিস্ট এ ক্যারিয়ারের ২৪ তম সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ব্রার্দাস ইউনিয়নের বিপক্ষে। চলতি ডিপিএলে টানা দুই সেঞ্চুরি হাঁকালেন সাবেক এই টাইগার ওপেনার। এতেই প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেলেও টানা তিন জয়ে উড়ছে তামিমের মোহামেডানও।
তামিম ইকবাল রানে ফিরলে তাকে সাজঘরে ফেরানো বড্ড কঠিন। অন্তত চলতি ডিপিএলে তেমনটাই মনে হচ্ছে। প্রথম দুই ম্যাচে রান করতে না পারার আক্ষেপটা পুষিয়ে দিলেন টানা দুইটা সেঞ্চুরি দিয়ে। দুই ম্যাচেই অপরাজিত শতক করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি।
ব্রাদার্সের দেওয়া ১৮৮ রানের টার্গেটটা একদম মামুলিই বানিয়ে ফেলেছেন মোহামেডানের অধিনায়ক। ৯৪ বলে যখন নিজের নামের পাশে শতরানের আরেকটা মাইলফলক যুক্ত করেন তখন তার দল পৌছে গেছে জয়ের বন্দরে।
৯৬ বলে নয় চার আর চার ছক্কায় ১০৬ রানে অপরাজিত থেকেছেন তামিম। শুরুতেই আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজকে হারালেও দলকে এক মূহুর্তের জন্যও চাপে পড়তে দেননি তিনি। তরুণ তুর্কী মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে নিয়ে গড়েছেন ১৮৭ রানের জুটি।
উইকেটের চারপাশে আছড়ে ফেলেছেন আল আমিন, সোহাগ গাজি, রাবিউল আতিকদের বলগুলো। তামিম তো এমনই, নিজেদের দিনে খেলেন সেরাদের সেরার মতই।
দারুণ ছন্দে থাকা তামিমের ঘাড়ে ভর করেই উড়ছে মোহামেডানও। আবাহনী, লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়ছে শিরোপা লড়াই। আর সেই লড়াইয়ে তাদের সেনানী তামিম লড়ছেন সামনে থেকেই। ব্যাক টু ব্যাক আনবিটেন সেঞ্চুরিই যেন জানান দেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে দাপিয়ে বেড়ানোর ক্ষমতা তামিমের এখনো বেশ ভালোই আছে।